নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাজাকারের তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গেছে। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন রিজভী।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, রাজাকারের তালিকা নিয়ে এখন এক মন্ত্রণালয় আরেক মন্ত্রণালয়ের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর ‘একাত্তরের রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও স্বাধীনতাবিরোধী তালিকা প্রকাশ-প্রথম পর্ব’ শিরোনামে ১০ হাজার ৭৮৯ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তালিকার অসংগতি নিয়ে সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জীবন বাজি রেখে যারা যুদ্ধে গিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই এখন রাজাকারের তালিকায় নিজেদের নাম দেখে ক্ষুব্ধ। আবার কুখ্যাত অনেক রাজাকারের নাম তালিকায় না থাকায় সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
প্রথম ধাপের এ তালিকায় যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামী, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, মীর কাসেম আলী, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীদের নাম নেই। অথচ এখন পর্যন্ত অন্তত ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম পাওয়া গেছে, যারা রাজাকারের তালিকাভুক্ত হয়েছেন।
এর বাইরে আছে আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতার নাম, যাদের অনেকে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে পরিচিত। নারী রাজাকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন ৩৮ জন। হিন্দুধর্মাবলম্বীর ৯২ জনের নামও এসেছে তালিকায়। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার, বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্যের নামও যুক্ত হয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে আরেক কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।