শেয়ার বিজ ডেস্ক: ২০২০ সালের ৫ মার্চ। এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজেস দেশটিতে প্রথম কভিড-১৯ রোগীর খবর প্রকাশ করে। ৩৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি স্ত্রীসহ ইতালি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় আসার পর তার দেহে কভিড শনাক্ত হয়। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েলি খিজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সেই থেকে দেশটিতে মধ্যরাতে কারফিউ জারি করা হয়, যা গতকাল প্রত্যাহার করা হলো। এ খবরে স্বস্তি ফিরে এলো ব্যবসায়ীদের মাঝে। খবর: রয়টার্স।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কভিডের সংক্রমণ, টিকা ও স্বাস্থ্য বিভাগের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে বিধিনিষেধে পরিবর্তন আনা হয়েছে। জনসাধারণকে টিকা নিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। জনসমাগম স্থলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কভিডের সংক্রমণ, মৃত্যু ও হাসপাতালে রোগী যেন না বাড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম কভিড রোগী শনাক্তের পর পেরিয়ে গেছে প্রায় দুই বছর। দীর্ঘ এ সময় মহামারির কারণে দেশটিতে রাতে কারফিউ জারি ছিল। খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের শুরুতে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সুখবরটি এমন এক সময়ে দেয়া হলো যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় কভিড-১৯-এর নতুন ধরন ওমিক্রন সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেছে বলে ধারণা করছে দেশটির সরকার। গত বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওমিক্রনের কারণে সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছিল, তা সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেছে।
সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বস্তরের নাগরিক, বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, গত দুই বছর ব্যবসায়ের জন্য কঠিন সময় ছিল। এ সময় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেন, ‘আমি আনন্দিত এ কারণে যে কারফিউ তুলে নেয়া গেছে। আমি খুশি, জনসাধারণের চলাফেরার স্বাধীনতার ফিরে এসেছে। প্রত্যাশা করি, এর মূল্য দিতে হবে না।’
প্রসঙ্গত, বতসোয়ানায় প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় এ ধরন শনাক্তের পর আলোচনা আসে ওমিক্রন।