মানতে হবে কয়েকটি নিয়ম

চলছে বিশ্বকাপ ফুটবল। এতে অংশ নিয়েছে যেন বাংলাদেশিরাও। সরাসরি মাঠে উপস্থিত না হতে পারলেও রাত জেগে টিভি দেখে সময় পার করছেন অনেকে। এতে শরীরের ওপর মারাত্মক চাপ পড়তে পারে। তাই কয়েকটি বিষয় মেনে রাত জেগে বিশ্বকাপ দেখুন।
একজন মানুষের প্রতিদিন সাত থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমের দরকার। খেয়াল করলে বুঝবেন, আমাদের দেহ একটা একটা নির্দিষ্ট অভ্যেসে চলে। এই শৃঙ্খলিত অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করে বায়োলজিক্যাল ক্লক বা দেহের অন্দরের ঘড়ি। এই যে আমরা সকালে উঠি, সারাদিন কাজকর্ম করি, আবার রাত হলেই ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে পড়িÑএর সবটাই নিয়ন্ত্রণ করে বায়োলজিক্যাল ক্লক। যেহেতু বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টাইম জোন আলাদা, তাই বিভিন্ন দেশের মানুষের বায়োলজিক্যাল ক্লকও আলাদা। অর্থাৎ আমাদের দেশে যখন রাত, তখন অন্য দেশে দিন হতেও পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়Ñআমাদের দেশে যখন দিন, ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনায় তখন রাত। অর্থাৎ ওই দেশ দুটিতে বসবাসরত মানুষের বায়োলজিক্যাল ক্লক আমাদের দেশের মানুষের থেকে আলাদা। আমাদের বায়োলজিক্যাল ক্লক যখন বলছে এবার ঘুমিয়ে পড়ো, ঠিক তখনই ওরা আড়মোড়া ভেঙে উঠে পড়ছে। রাত জেগে খেলা দেখার মূল সমস্যাটা বায়োলজিক্যাল ক্লক ঘিরেই। আপনি যখন খেলা দেখা শুরু করছেন, ঠিক তখনই আপনার দেহের ভেতরে থাকা এই ঘড়ি আপনাকে ঘুমাতে যাওয়ার জন্য তাগাদা দিচ্ছে। অন্যথায় ঘুম নষ্ট হবে। ফলে দেখা দেবে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা।

কম ঘুমালে
হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায়

হতে পারে ডায়াবেটিস

বৃদ্ধি পায় স্ট্রোকের আশঙ্কা

ওজন বাড়তে পারে

ক্ষুধা পাওয়ার জন্য দায়ী হরমোনগুলোর ভারসাম্যে গণ্ডগোল দেখা দেয়

হেরফের হয় রক্তচাপের। ব্লাডপ্রেশার বাড়ার আশঙ্কা থাকে

সমস্যা দেখা দিতে পারে কিডনিতে

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে

কাজের গতি কমে যায়

দেহে স্ট্রেস হরমোন কটিজলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। কর্টিজল আবার ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয়

ত্বকের টানটান ভাব নষ্ট হয়

বয়স বাড়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়

কমে যায় গ্রোথ হরমোন

একজিমা, ব্রণ প্রভৃতি হতে পারে

গুছিয়ে ভাবনা-চিন্তা করার ক্ষমতা কমে যায়

মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হয়; মেজাজ ধরে রাখা যায় না

বন্ধ্যত্বের মতো সমস্যাও হতে পারে

সমস্যা এড়াতে

খেলা দেখার সময় স্বাস্থ্যকর খাদ্য বা স্ন্যাকস খেতে হবে

তেল-ঝাল-মসলা দেওয়া খাবার খাওয়া যাবে না

খুব ভারী, হজমে দেরি হয় এমন খাবার খেয়ে খেলা দেখা যাবে না

সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে

খেলা দেখতে দেখতেই অল্প অল্প পানি পান করুন

ঘর অন্ধকার করে খেলা দেখবেন না একটা আলো জ্বালিয়ে রাখবেন

খেলা দেখার আগে আধঘণ্টা ঘুমিয়ে নিতে পারেন

জানালা-দরজা বন্ধ করবেন না। জানালা খোলা রাখুন

একা নয়, বরং বেশ কয়েকজন একসঙ্গে মিলে খেলা দেখুন

প্রতিদিনের ওষুধ খাওয়া বন্ধ করবেন না

অ্যালকোহল ও ধূমপান থেকে দূরে থাকবেন

মাত্রাতিরিক্ত আবেগ ও উত্তেজনা
এড়িয়ে চলুন।