Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 11:46 am

রানির মৃত্যুর পর ফের স্বাধীনতার দাবি স্কটল্যান্ডে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: রানি এলিজাবেথের মৃত্যুতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ব্রিটেন। স্কটল্যান্ডে ফের জোরালো হচ্ছে স্বাধীনতার দাবি। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।

‘দ্য এমপায়ার অন হুইচ সান নেভার সেটস’ অর্থাৎ ‘যে সাম্রাজ্যে সূর্য কখনও অস্ত যায় না’Ñএকসময় ব্রিটেন সম্পর্কে এমনই বলা হতো। পরিস্থিতি পাল্টেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের স্নায়ুযুদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উত্থানে একসময়কার দাপুটে ব্রিটিশরা বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। এরপর রানির মৃত্যু পরিস্থিতি নাজুক করে তুলেছে। তাই রানির মৃত্যুর পর থেকে স্কটল্যান্ডে জোরালো হচ্ছে স্বাধীনতার দাবি। ইউনাইটেড কিংডম বা গ্রেট ব্রিটেন থেকে আলাদা সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছে স্কটল্যান্ডের জনগণের একাংশ।

এক ব্রিটিশ বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষায় জানা গেছে, রাজতন্ত্রের পক্ষে সমর্থন রয়েছে ৪৫ শতাংশ স্কটিশ জনতার। অন্যদিকে প্রজাতন্ত্র চাইছে ৩৬ শতাংশ। ‘ইউনাইটেড কিংডম’-এর অঙ্গরাজ্য হয়ে থাকতে চাইছে ৫১ শতাংশ।

২০১৪ সালে স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট হয় স্কটল্যান্ডে। সেবার জয় হয়েছিল রাজতন্ত্রের সমর্থকদের। রানির মৃত্যুতে এবার স্বাধীনতার দাবিতে ফের সরব হয়েছে জাতীয়তাবাদী ‘স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি’। তবে তারা প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে নয়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজা চার্লসের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করেছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা আলেক্স সামন্ড। রানির মৃত্যুতে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজন শোক প্রকাশ

করেছেন। সবমিলিয়ে রাজা চার্লসের সফর যে খুব মসৃণ হবে না, তা স্পষ্ট।

স্কটিশ গণমাধ্যম ‘দ্য টাইমস’ পত্রিকা লিখেছে, এ ঘটনাকে (রানির মৃত্যু) এক যুগের অন্ত হিসেবে দেখছেন স্কটিশদের একাংশ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নতুন দিশার সন্ধান করবেন তারা।

বিশ্লেষকদের মতে, ব্রিটেনের মসনদে চার্লস বসায় পরিস্থিতি কিছুটা জটিল হয়ে উঠেছে। প্রজাতন্ত্র ঘোষণার দাবিতে গণভোটের দাবি উঠতে পারে স্কটল্যান্ডে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘ডেইলি মেইল’-এ বর্ষীয়ান সাংবাদিক অ্যান্ড্রু নেল লিখেছেন, তিনি (রানি) নেই, তাই এ জোট এখন অনেক বেশি সমস্যার সম্মুখীন। রানির মতো স্কটল্যান্ডকে ভালোবাসেন রাজা চার্লস, কিন্তু বাস্তবে তার তেমন কর্তৃত্ব নেই।