শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাফায় সেনাবাহিনীকে অভিযানের অনুমোদন দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দেশ থেকে ইসরায়েলকে সতর্ক করা হয়েছে। খবর: আল জাজিরা।
ইসরায়েলের হামলা থেকে বাঁচতে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে মিসরের সীমান্তবর্তী রাফা শহরে। এত দিন এই জায়গাটিকে নিরাপদ মনে করা হয়েছে। তবে রাফায় ইসরায়েলের এই অভিযানের বিরুদ্ধে সতর্কতা জানিয়েছে জাতিসংঘ, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস। যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে বলে জানা গেছে। গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৩১ হাজার ৪৯০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৭৩ হাজার ৪৩৯ জন।
হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি নেতানিয়াহুকে আরও গণহত্যার মতো অপরাধ সংঘটনের জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
এদিকে হামাসের দেয়া নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। গত শুক্রবার যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাব নিয়ে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক শেষে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামাসের নতুন প্রস্তাবে এখনও অনেক অযৌক্তিক দাবি রয়েছে। কাতারের উদ্দেশে পাঠানো বার্তায় ইসরায়েল আরও বলেছে, যদি গাজায় যুদ্ধবিরতি-সংক্রান্ত নতুন কোনো প্রস্তাব আনা হয়, তাহলে তা পর্যালোচনা ও বিবেচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ইসরায়েল। তবে যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের কাতারে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর রাফায় হামলার অনুমতি দেয়ার পর এর বিরোধিতা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, তারা রাফায় হামলা চালানোর কোনো সুস্পষ্ট এবং কার্যকর পরিকল্পনা দেখেননি। ইসরায়েল যদি রাফায় কোনো ধরনের সামরিক অভিযান চালাতে চায়, তাহলে একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা দেখাতে হবে। শুক্রবার অস্ট্রিয়া সফরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ কথা জানান ব্লিঙ্কেন।
রাফা মিসরের সীমান্তবর্তী শহর। প্রায় ছয় মাস আগে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর সীমান্ত পেরিয়ে মিসরে যাওয়ার জন্য উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাফায় আসতে শুরু করেন ফিলিস্তিনিরা। মিসর যদিও সীমান্ত খোলেনি, কিন্তু এখনও শহরটিতে রয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গাজায় বসবাসকারী ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির অর্ধেকই বর্তমানে অবস্থান করছেন রাফায়।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে রাফায় অভিযান শুরু করতে চাইছে ইসরায়েল। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক আপত্তির কারণে তা সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আপত্তির প্রধান কারণ রাফার বর্তমান জনঘনত্ব। ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরু করলে সেখানে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে।
