প্রতিনিধি, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস অনুষদ ও বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটি (বিএলএস) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ মেলায় ৪ ক্যাটেগরিতে লাইভস্টক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১১ ব্যক্তি ও ৩ প্রতিষ্ঠান। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ১১ ব্যক্তি হলেন লাইভস্টক শিল্প (ব্যক্তি) মো. আমিনুল ইসলাম, লাইভস্টক গবেষণায় অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস, লাইভস্টক শিক্ষায় অধ্যাপক ড. এম রাশেদ হাসনাত, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ডা. মো. গোলাম মোস্তফা, মাঠপর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবী অঞ্জনা রানী, জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে মো. সাইফুল ইসলাম, প্রোমিজিং ক্যাটেগরিতে ফার্মার অব দ্য ইয়ার লাইভস্টকে মোছা. সুরাইয়া ফারাহানা রেশমা, পোলট্রি শিল্পে মো. ওয়াহেদুজ্জামান সিকুল, শৌখিন পাখি শিল্পে মো. মফিজুর রহমান ও ক্যাটালিস্ট মিডিয়া পারসন হিসেবে ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের কৃষিবিদ ফয়জুল সিদ্দিকী এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় পোলট্রি খামার বিচিত্রার কামাল আহম্মদ।
পুরস্কারপ্রাপ্ত ৩ প্রতিষ্ঠান হলোÑমোস্ট ভ্যালুয়েবল পারসন অব দ্য ইয়ার ক্যাটেগরিতে লাইভস্টক শিল্প কাজী ফার্মস লিমিটেড, হাইয়েস্ট সার্ভিস প্রোভাইডার ক্যাটেগরিতে লাইভস্টক শিল্পে ইয়ন বায়ো সায়েন্স লিমিটেড, প্রাণিসম্পদের মাঠ পর্যায় থেকে উদ্যোক্তা আদর্শ প্রাণিসেবা লিমিটেড।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট ও খাদ্যসংকটের আভাস দেয়া হচ্ছে। তবে কৃষক ও কৃষির অবদানের কারণে আমরা কখনও দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হবো না। মাঠ পর্যায়ের কৃষি সমস্যাগুলো কৃষকরা সবচেয়ে ভালো জানেন। মাঠ পর্যায়ের সঙ্গে যৌথতা না থাকলে আমাদের গবেষণার জ্ঞানকে কাজে লাগাতে পারব না। তাই সংশ্লিষ্ট খাতের সঙ্গে কৃষকদের যোগাযোগ বাড়ানো জরুরি। তা না হলে আমাদের উৎপাদন টেকসই হবে না। আমাদের টিকে থাকতে হবে, টিকে থাকতে থাকতে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ও বিএলএসের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জালাল উদ্দিন সরদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেনÑএসিআই লিমিটেডের প্রধান কারিগরি পরামর্শক ড. এমএ সালেক, বিএলএসের সহ-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ড. হেমায়েতুল ইসলাম।