বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৪৫৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে, যেখানে বিগত অর্থবছরে বাজেটের পরিমাণ ছিল ৪৩৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এ বছর ২১ কোটি ২৩ লাখ টাকা বৃদ্ধি করে বাজেট পাস করা হয়েছে। এ বছর মূল বাজেটের ৩৩৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে বরাদ্দ এবং বাকি ২২ কোটি টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে প্রাপ্ত বলে জানা গেছে। সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১৫তম সিন্ডিকেট সভায় এ বাজেট অনুমোদিত হয়।
অনুমোদিত এ আবর্তক বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা, প্রকাশনা, বইপত্র, গবেষণাগার সরঞ্জামাদি, স্মার্ট ক্লাসরুম, ফিল্ডওয়ার্ক/শিক্ষা সফর, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ, খেলাধুলা ও শিক্ষাবৃত্তিসহ ১০ খাত অগ্রাধিকার পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে গবেষণা খাতে আট কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ থাকলেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুই কোটি টাকা বাড়িয়ে ১০ কোটি টাকা করা হয়েছে। এছাড়া প্রকাশনা খাতে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা হলেও দুই লাখ টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫২ লাখ টাকা করা হয়েছে।
২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ১৬টি স্মার্ট ক্লাস রুমের জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল তিন কোটি ২০ লাখ টাকা। তাছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে ফিল্ড ওয়ার্ক/শিক্ষা সফর খাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল ১৮ লাখ টাকা। কিন্তু ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৮০ লাখ টাকা করা হয়। আবার শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ বাবদ ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ বেড়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫২ লাখ টাকা অনুমোদন করা হয়েছে।
এদিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে এক কোটি ৮৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। আবার শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি খাতে আগের অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দ ছিল ৪৫ লাখ টাকা। কিন্তু গত বছর বরাদ্দ বাড়িয়ে এক কোটি টাকার সংশোধিত বাজেট আনা হলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা অনুমোদিত হয়েছে।
এছাড়া বইপত্র খাতে ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেট বরাদ্দ ছিল ২৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৬০ লাখ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া বিভাগীয় সেমিনার লাইব্রেরিতে বইপত্র খাতে ২৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৪০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, এবারের বাজেট শিক্ষা, প্রকাশনা, গবেষণাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে। তাছাড়া শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মান বৃদ্ধির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জিত হবে বলে মনে করেন এ উপাচার্য।