নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে অগ্নিসংযোগ এবং দুই শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। গতকাল রোববার রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সভায় নেতারা বলেন, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি ঘটছে। হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই বেড়ে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। চারদিকে আগুন জ্বলছে। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়েও। স্থানীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের ব্যর্থতা এবং অবহেলার কারণে আজকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্রসহ দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে পুরো একটা এলাকার দোকানপাট। ব্যাহত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।
নেতারা আরও বলেন, এ সরকারের হাতে দেশের জনগণ নিরাপদ নয়, অর্থনীতি নিরাপদ নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিরাপদ নয়, মানুষের জানমাল নিরাপদ নয়। অবৈধ ফ্যাসিবাদী সরকার দেশকে এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ অবৈধ ভোট ডাকাত, অত্যাচারী সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধীন নির্বাচন এবং সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে দেশ এবং দেশের জনগণকে এ ভয়াল পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করতে হবে।
এতে সভাপতিত্ত্ব করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণ অধিকার পরিষদেও যুগ্ম আহ¡ায়ক মুহম্মদ রাশেদ খান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু। আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার ও কবির হাসান, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ¡ায়ক ফারুক হাসান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন প্রমুখ।
সভা থেকে আগামী ১৮ মার্চ বেলা ১১টায় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, দফায় দফায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও তিস্তার পানি প্রত্যাহার বন্ধে সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদ ও গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয়া হয়।