প্রতিনিধি, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ‘শীত আগমনী উৎসব-১৪২৯’ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল সোমবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে চারুকলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে এ আয়োজন। এ উৎসবকে ঘিরে নানা প্রস্তুতি চলছে এ অনুষদে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ উৎসবের মূল আকর্ষণ হিসেবে ঢেঁকির ডামি, কারুকার্যে সজ্জিত সূর্যমুখী ফুলের বাগান, অতিথি পাখি সজ্জিত বটগাছ এবং পুকুর নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিক্ষার্থীরা। এগুলোর মাধ্যমে শীতকালীন আবহটিকে উপস্থাপন করবেন শিক্ষার্থীরা। শিল্পীদের রংয়ের ছোঁয়ায় ভিন্নরুপ ধারণ করছে চারুকলা অনুষদের মুক্তমঞ্চ। কাগজ কেটে পদ্ম বাগান ও অতিথি পাখির আসর, সূর্যমুখির চত্বরসহ বিভিন্ন রকমের কারুকার্যের মাধ্যমে একদল শিক্ষার্থী সাজাতে দেখা যায় এবারের আসর। উৎসবটিকে ঘিরে চারুকলার প্রধান ফটক থেকে শুরু করে মুক্তমঞ্চসহ পুরো প্রাঙ্গণকে শিল্পীর রং তুলির ছোঁয়ায় সাজানো হচ্ছে। হরেক রকম পিঠার জন্য বসানো হচ্ছে ৬টি স্টল। চারুকলা অনুষদে সকল শিক্ষার্থীদের একজোটে কাজ করতে দেখা যায়।
চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী প্রণবরায় বলেন,এবারে প্রথমবারের মতো আমরা এই উৎসবটি আয়োজন করতে যাচ্ছি। এবারে উৎসবে প্রতি বিষয়ে বাংলা সংস্কৃতিকে আমরা উপস্থাপনা করা চেষ্টা করছি। আমাদের গেইট থেকে শুরু করে অতিথি পাখির মেলা, পদ্ম পুকুর ও সূর্যমুখি চত্বর সবগুলোতেই বাঙ্গালীর সংস্কৃতি লুকিয়ে আছে। তিনদিন যাবত চারুকলা অনুষদের সকল শিক্ষার্থী মিলে কাজ করছি। সকলকে এ উৎসবে আসার আমন্ত্রণ জানান এ শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারুকলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, “আবহমান বাঙালি সংস্কৃতিতে যেটা হয়ে আসছিল, ফসল উঠার পরে কৃষক নতুন ফসল দিয়ে পিঠা উৎসব করে আসছিল। আমরা মূলত সে থিমকে ভিত্তি করে আমাদের এবারের শীত উৎসব আয়োজন করেছি। উৎসবের প্রতিটি সেগমেন্টে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক শিক্ষার ব্যবহারিক প্রয়োগের সুযোগ পাবে৷ আর যে ঐতিহ্য গুলো হারিয়ে যাচ্ছে তা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার প্রয়াস এ আয়োজন।”
উৎসবে চারুকলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম এবং অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির।
