Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 2:57 pm

রাবি ভর্তি পরীক্ষা: বিশেষ কোটায় ভর্তি হবেন ৫৩৭ শিক্ষার্থী

প্রতিনিধি, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বিশেষ কোটার জন্য ৫৩৭টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। শনিবার (২৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় কোটাবাদে আসন রয়েছে ৩৯৩০টি। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রাবিতে কেবল কোটাতেই বরাদ্দ রাখা হয়েছে মোট আসনের প্রায় ১২ শতাংশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য আসন রয়েছে ৬১টি, (প্রতিটি বিভগ থেকে ২টির বেশি নয়), শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য ১২২টি (প্রতিটি বিভগ থেকে ২টির বেশি নয়), মুক্তিযোদ্ধার পুত্র/কন্যা, নাতি/নাতনিদের জন্য প্রতি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের আসন সংখ্যা ৫ শতাংশ আসন।

রাবিতে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পুত্র/কন্যাদের জন্য প্রতি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের আসন সংখ্যা ৪ শতাংশ এবং বিকেএসপি কোটায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিভাগে নির্ধারিত আসন সংখ্যার ১০ শতাংশ। তবে বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে ভর্তি পরীক্ষায় নির্ধারিত পাশ মার্কের চেয়ে কম পেয়েও কোটায় ভর্তি হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে মাত্র ১৯ নম্বর পেয়েও ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল এক শিক্ষার্থী। সেই সঙ্গে বিশেষ বিবেচনায় পোষ্য কোটায় দুজন ছাড়াও খেলোয়াড় কোটায় তিন জনসহ মোট পাঁচ ভর্তিচ্ছুকে রাবিতে পড়ার সুযোগ দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এর আগে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ফেল করেও ৭১ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ফেল করেও শুধু পোষ্য কোটায় ৪৩ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, “নির্ধারিত পাশ মার্ক ছাড়া এ বছর কেউ ভর্তি হতে পারবে না। গত বছরের তুলনায় এ বছর পোষ্য কোটা ১ শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছে। গত শিক্ষাবর্ষে কোটায় আসন পূরণ না হওয়ার ভর্তি পরীক্ষার মূল কমিটি ও উপকমিটির বিশেষ সুপারিশে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছিল; তবে এবছর সেই সুযোগটি থাকছে না। পাশ করেই ভর্তি হওয়ার সুযোগ অর্জন করতে হবে।”