Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 4:02 am

রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, উত্তেজিত জনতার ৮ বাসে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর রামপুরায় অনাবিল পরিবহনের একটি বাসের চাপায় মঈন উদ্দিন নামের এক শিক্ষার্থী মৃত্যু হয়েছে।

এই ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধসহ ভিক্টর, ট্রাস্ট, অনাবিল ও দূরপাল্লার একটিসহ মোট ৮টি বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

সোমবার রাত পৌনে এগারোটার দিকে রামপুরা বাজারের ডিআইটি রোডের সোনালী ব্যাংকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় মালিবাগ থেকে রামপুরা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত সোয়া ১২টা) ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিহত মঈন স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি রামপুরা এলাকায় বড় হয়েছে। স্থানীয় একরামুন্নেসা স্কুলে পড়ত মঈন। সেখান থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল সে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ১১টার দিকে অনাবিল পরিবহনের একটি বাসে মঈন নামের ওই শিক্ষার্থী উঠার চেষ্টা করেন। এসময় বাসটি দ্রুতগতিতে ছেড়ে যেতে চাইলে মঈন নিচে পড়ে যান। পরে তার উপর দিয়ে বাসটি চলে গেলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক মো.মারুফ বলেন, বাসচাপায় রামপুরা বাজারের সামনে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করেছে। তারা বেশ কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি। দুর্ঘটনার পর বাস থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আহত এক ব্যক্তিকে জনগণ আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তিনি ঘাতক বাসের চালক হতে পারেন। সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এর আগে গত ২৪ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানে দক্ষিণ সিটির ময়লার গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান মারা যায়। এ ঘটনার ঠিক পরদিন অর্থাৎ ২৫ নভেম্বর ডিএনসিসির ময়লার গাড়ির ধাক্কায় আহসান কবির খান নামে এক ব্যক্তি মারা যান। 

এদিকে সোমবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে রাইদা পরিহন থেকে এক ছাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীদের এ খবর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা রামপুরা বিটিভি ভবনের সামনের রাস্তায় রাইদা পরিবহনের ১৫টি বাস আটকে রাখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।