রামবুটান একটি বিদেশি সুস্বাদু রসালো ফল। ফলটি দেখতে লিচুর মতো। লিচুর খোসা কিছুটা কাঁটার মতো, রাম্বুটানের কাঁটা তুলনায় বড় হলেও একেবারে নরম। ফলটির আদি নিবাস পশ্চিম মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা। আমাদের দেশে এর চাহিদা বেশ বেড়েছে। এ ফলের রস অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরা।
রোগ প্রতিরোধ করে
রামবুটান উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ একটি ফল। প্রজাতি ভেদে শর্করার পরিমাণ ২০ থেকে ২৫ শতাংশ, হজমযোগ্য আঁশ এক শতাংশ। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বিদ্যমান থাকায় এটি অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে সহায়তা করে
নানা রোগের ওষুধ
শরীরের ক্ষতস্থান পূরণ, জ্বর কমানো, আমাশয় রোগ প্রতিরোধে রামবুটান বেশ উপকারী। ফলটি কৃমিনাশক হিসেবেও কাজ করে। কাশি, পেটব্যথা, টিউমার দমনের ক্ষেত্রে রামবুটান কার্যকর। এর গাছের শেঁকড়, বাকল ও ফুল পানিতে সেদ্ধ করে কুলকুচি করলে মুখ ও গলার ঘা সেরে যায়
শুক্রাণুর গুণমান উন্নত করে
শুক্রাণু বিকাশের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পুরুষের সীমিত প্রজনন ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে বেশ সহায়ক। এছাড়া শুক্রাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি করে ও এর গুণমান উন্নত করে
ভিটামিন সি-এ পরিপূর্ণ
ফলটিতে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ১০ থেকে ১২টি রামবুটানে প্রায় ৯০ মিলিগ্রাম অ্যাসকরবিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। এটি কোষের ক্ষতি এড়াতে বেশ সহায়তা করে
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর
এ ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে প্রচুর আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার ও খনিজ রয়েছে
দাঁত ও হাড়ের জন্য উপকারী
এর ফসফরাস হাড় গঠনে সাহায্য করে।
হাড় ও দাঁতের যত্নে তাই নিয়মিত রামবুটান খেতে পারেন
অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে
রামবুটানকে প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক বলা হয়। এতে থাকা নানা উপাদান শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কাজ করে
ত্বক ও চুলের যত্ন উপকারী
রামবুটানে উচ্চ পরিমাণে পানি রয়েছে, যা ত্বক ও চুলের জন্য বেশ কার্যকারী। তাই প্রতিদিন সম্ভব না হলেও সপ্তাহে তিন দিন ফলটি খেতে পারেন। এতে ত্বক ও চুল দুটোই সুস্থ থাকবে।