প্রতিনিধি, রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে কভিড-১৯-এর চেয়ে উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে কভিডে একজন ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন পাঁচজন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।
হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা শনাক্ত রোগীর মৃত্যুর চেয়ে বেশি। কভিড ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) ৯টার মধ্যে হাসপাতালের কভিড আইসোলেশন ইউনিটে মারা যান তারা।
হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে কভিড-১৯ সংক্রমণে নওগাঁর একজন মারা গেছেন। আর সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে পাবনার তিনজন, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন করে মারা গেছেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, নারী-পুরুষ হিসেবে এ পাঁচজনের মধ্যে চারজন পুরুষ ও দুজন নারী মারা গেছেন। তাদের চারজনের বয়স ৬১ বছরের ওপর। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী একজন ও ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন মারা গেছেন।
হাসপাতালের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের। এছাড়া নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) একজন এবং ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯২ শয্যার রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৮০ জন। এক দিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ৮১। বর্তমানে রাজশাহীর ৪০, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৩, নাটোরের চার, নওগাঁর ছয়, পাবনার ১১, কুষ্টিয়ার তিন, সিরাজগঞ্জের এক, মেহেরপুরের এক ও বগুড়ার একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি।
হাসপাতালে কভিড নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৩ জন। কভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৫৫ জন। তাদের মধ্যে কভিড শনাক্ত হয়নি ১২ জনের। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন। এ এক দিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৩ জন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে কভিড ধরা পড়েছে ৯ জনের নমুনায়। একই দিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ১৮৫ জনের। এর মধ্যে কভিড শনাক্ত হয়েছে আটজনের নমুনায়। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ছয় দশমিক ৬৭, জয়পুরহাটের ১১ দশমিক ১১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাত দশমিক ৬৯ শতাংশ নমুনায় কভিড শনাক্ত হয়েছে।