Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 7:28 pm

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র

শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাশিয়ার স্যাটেলাইট-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, রাশিয়া যে পরীক্ষা চালিয়েছে, তা বিপজ্জনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন। খবর: বিবিসি।

সোমবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে রাশিয়া নিজেদের একটি স্যাটেলাইট গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এতে ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়। এ কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) ক্রুরা ক্যাপসুলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বর্তমানে সাত ক্রু সদস্য রয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজন যুক্তরাষ্ট্রের, একজন জার্মানির ও দুজন রাশিয়ার নাগরিক।

এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানান, রাশিয়ার এ পরীক্ষার ফলে এখন পর্যন্ত দেড় হাজারটির বেশি গতিবিধি অনুসরণযোগ্য ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়েছে। এছাড়া কয়েক হাজার ছোট ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়েছে। এ ধ্বংসাবশেষ সবার স্বার্থের জন্যই হুমকিস্বরূপ।

তিনি বলেন, রাশিয়ার বিপজ্জনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ মহাকাশের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করে তুলছে। রাশিয়ার দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের জবাব দিতে যুক্তরাষ্ট্র তার অংশীদার ও মিত্রদের সঙ্গে কাজ করবে বলে জানান নেড প্রাইস। তবে যুক্তরাষ্ট্র যে আশঙ্কার কথা বলছে, তা উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা।

বিবিসি বলছে, ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে রাশিয়া ‘কসমস-১৪০৮’ নামের একটি স্যাটেলাইট ধ্বংস করেছে। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহকারী এ স্যাটেলাইট ১৯৮২ সালে উৎক্ষেপণ করা হয়। এক টনের বেশি ওজনের এ স্যাটেলাইট অনেক আগেই কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

নাসা জানিয়েছে, পরীক্ষার পরপরই পূবসতর্কতা হিসেবে নভোচারীদের মহাকাশ স্টেশনটিতে ভিড়িয়ে রাখা মহাকাশ যানের ক্যাপসুলগুলোয় দুই ঘণ্টার জন্য আশ্রয় নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ৪২০ কিলোমিটার ওপর দিয়ে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা এ গবেষণাগারটিকে প্রতি ৯০ মিনিটে একবার করে ওই আবর্জনার ক্ষেত্রের ভেতর দিয়ে অথবা কাছ দিয়ে যেতে হচ্ছে। তবে তৃতীয়বার ওই ক্ষেত্র পার হওয়ার পর নভোচারীদের স্টেশনের ভেতরে ফেরা নিরাপদ হবে বলে নির্ধারণ করেছেন নাসার বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা করে একে ‘বেপরোয়া ও দায়িত্বজ্ঞানশূন্য’ বলে অভিহিত করেছেন।