শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, অষ্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এর মধ্যে রয়েছে রুশ তেলও। তবে এই তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে এখনও একমত হতে পারেনি ইইউভুক্ত দেশগুলো। খবর: সিএনএন।
কয়েকবার এ নিষেধাজ্ঞা দিতে গিয়েও তাদের পিছিয়ে আসতে হয়েছে। গত রোববার ইউনিয়নের ক‚টনীতিকরা ব্যর্থ হলেও আজ সম্মেলনে ফের চেষ্টা করা হবে। গতকাল শুরু হয়েছে এ সম্মেলন।
ইইউর এক শীর্ষ ক‚টনীতিক জানান, নেতারা ব্রাসেলসে একত্র হবেন। কিন্তু তার আগে একটি চুক্তির আশা করার মতো পরিস্থিতি এখনও রয়েছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে এখনও কঠোর অবস্থানে রয়েছে ইইউ। তেলের ওপর অবরোধ হবে অঞ্চলটির ষষ্ঠ নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ। তবে হাঙ্গেরির কারণে এ প্যাকেজটি আটকে রয়েছে।
হাঙ্গেরি জানায়, রুশ তেলে নিষেধাজ্ঞা দিলে তাদের অর্থনীতি ধসে পড়বে। রাশিয়ার বিকল্প এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানায় দেশটি। স্লোভাকিয়া ও চেক রিপাবলিকও একই ধরনের উদ্বেগ দেখিয়েছে।
এর আগে ইইউভুক্ত ফিনল্যান্ডে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে রাশিয়া।
ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। এরই মধ্যে রুশ হুমকি উপেক্ষা করে ন্যাটোয় যোগ দিতে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন।
গত মার্চে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন জানান, ইইউ রুশ তেলের ওপর নির্ভরতা শেষ করছে। চলতি বছর শেষ নাগাদ রাশিয়ার তেল কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। রাশিয়ার ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টি করতেই এমন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। অবশ্য বিষয়টি সহজ হবে না বলেও স্বীকার করেছেন তিনি। কারণ কিছু দেশ রাশিয়ার তেল আমদানির ওপর নির্ভরশীল। তখন এর বিরোধিতা করে হাঙ্গেরি।
এছাড়া রুশ প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ করার বিষয়ে ইইউর ২৭ সদস্যদের মধ্যে কোনো ঐকমত্য নেই। রুশ গ্যাসের ব্যাপারে এখনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি ইইউ। জার্মানিও রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। ২০২০ সালের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রাশিয়ার গ্যাসের শীর্ষ ক্রেতা জার্মানি।