শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাশিয়ার তেল শোধনাগারগুলোয় আবার ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এ নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো হামলা হলো। গত কয়েক মাসের মধ্যে এটি রাশিয়ার জ্বালানি খাতে ইউক্রেনের চালানো সবচেয়ে কঠিন আক্রমণ। খবর: রয়টার্স।
গত বুধবারের এ হামলায় রাশিয়ার তেল কোম্পানি রোজনেফতের বৃহত্তম শোধনাগারে আগুন ধরে যায়। এতে তেল সরবরাহে বিঘœ ঘটতে পারে, এমন আশঙ্কায় বিশ্ব বাজারে তেলের দাম ২ শতাংশ
বৃদ্ধি পায়।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে বিঘিœত করার চেষ্টায় এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন মন্তব্য করেছেন। আজ শুক্রবার থেকে আগামী রোববার পর্যন্ত রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আগের দিন গত মঙ্গলবার নিজনি নভগোরোদে রাশিয়ার বহুজাতিক তেল কোম্পানি লুকোয়েলের একটি তেল শোধনাগারে হামলা চালায় ইউক্রেনের ড্রোন। এতে তেল শোধনাগারটির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের ড্রোনগুলো বুধবার রোস্তভ ও রাইয়াজান অঞ্চলের তেল শোধনাগারগুলোয় হামলা চালিয়েছে।
মস্কো থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের রাইয়াজানে এক ড্রোনের হামলায় রোজনেফতের বৃহত্তম শোধনাগারে আগুন ধরে যায়। এটি রাশিয়ার সপ্তম বৃহৎ তেল শোধনাগার।
রাইয়াজান অঞ্চলের গভর্নর পাভের মালকভ জানিয়েছেন, আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে, হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত দুইজন রুশ নাগরিক রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামলার পর তেল শোধনাগারটি তাদের দুইটি তেল শোধন ইউনিট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে রোজনেফত সাড়া দেয়নি।
রোস্তভ অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি গোলুবেভ জানান, সেখানে কোনো হতাহতের ঘটেনি। কিন্তু হামলার পর নভোশাখটিনস্ক শোধনাগার উৎপাদন স্থগিত করতে বাধ্য হয়। পরে শোধনাগারটিতে উৎপাদন ফের শুরু হয় বলে জানা গেছে।
ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের এসবিইউ গোয়েন্দা সংস্থা ড্রোন হামলাগুলো পরিচালনা করেছে।
পুতিন বলেছেন, ১৫-১৭ মার্চের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টায় কিয়েভ এসব হামলা চালাচ্ছে।