শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের দুই আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়া স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এরপর ইন্টারনেট ব্যবহারে রাশিয়াকে বিরত রাখতে স্পেসএক্স যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে কি না, তা তদন্ত করছে হাউস ডেমোক্র্যাটরা। খবর: রযটার্স।
এর আগে ইউক্রেনের গোয়েন্দারা অভিযোগ করেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার সেনাবাহিনী স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করেছে। স্পেসএক্সকে দেয়া এক চিঠিতে এই অভিযোগকে গুরুতর বলে উল্লেখ করেছেন ওই দুই ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা।
স্পেসএক্সের প্রেসিডেন্ট গোয়েইন শটওয়েলকে দেয়া ওই চিঠিতে রিপ্রেজেন্টেটিভ জেমি রাসকিন ও রবার্ট গার্সিয়া লিখেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত রাশিয়ান সীমানার বাইরে রাশিয়ার স্টারলিংকের ইন্টারনেট অপব্যবহারের এই ঘটনা ইউক্রেনের নিরাপত্তা, ইউক্রেনের নাগরিকদের জীবন ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি তৈরি করে।
তবে স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহারের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। গত মাসে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, স্টারলিংক সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে সরবরাহ করা হয় না। তাই এটি কোনোভাবেই সেখানে ব্যবহার করা যাবে না।
রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের সুবিধার জন্য তাদের স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করে আসছে স্পেসএক্স।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন অভিযোগ করে রাশিয়া স্টারলিংকের ওই টার্মিনালগুলো আরব দেশগুলো থেকে সংগ্রহ করেছে। পরবর্তী সময়ে তারা ইউক্রেনে তাদের দখলে থাকা অঞ্চলগুলোয় ওই টার্মিনালগুলো স্থাপন করে। অধিকৃত অঞ্চলগুলোয় রাশিয়াকে এই টার্মিনালগুলো ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্পেসএক্সের প্রতি আহ্বান জানায় ইউক্রেন।
কিয়েভের জিইউআর সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে, স্টারলিংক ইন্টারনেট টার্মিনালগুলো রাশিয়ান সেনারা ‘পদ্ধতিগত’ ভিত্তিতে ব্যবহার করছে। পাশাপাশি মস্কোর বিরুদ্ধে তথ্য ‘পাচার’ করার অভিযোগও করেছে।
ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের মালিকানাধীন স্টারলিংক একটি নেটওয়ার্ক, যা দূরবর্তী অবস্থানগুলোয় বা সাধারণ যোগাযোগ অবকাঠামো নিষ্ক্রিয় থাকা অঞ্চলগুলোয় ইন্টারনেট সরবরাহ করতে পারে।
স্টারলিংক জানিয়েছে, রাশিয়ার সরকার বা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তাদের কোনো ধরনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই।
গত মাসে এক এক্সবার্তায় ইলন মাস্ক জানান, রাশিয়ার কাছে কোম্পানিটির ইন্টারনেট টার্মিনাল বিক্রির অভিযোগগুলো সত্য নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ওই দুই আইনপ্রণেতা ২০ মার্চের মধ্যে স্পেসএক্সকে তাদের চিঠির উত্তর দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
