শেয়ার বিজ ডেস্ক: ডলারের বিপরীতে রুবলের দর বৃদ্ধির জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তিরস্কার করেছেন। গতকাল সোমবার ১ ডলারের বিপরীতে ১০১ রুবল পর্যন্ত পাওয়া গেছে। খবর: রয়টার্স।
চলতি বছর এ পর্যন্ত রুবলের পতন হয়েছে ৩০ শতাংশ এবং এর দায় পড়ছে অর্থনৈতিক কর্তৃপক্ষের ওপর। গত বছর দেশটির আমদানি কমে যাওয়ার কারণে বাণিজ্য উদ্বৃত্তের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২১ বিলিয়ন বা ২২ হাজার ১০০ কোটি ডলারে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিন ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পর ডলারের বিপরীতে রুবলের ২৫ শতাংশ পতন হয়েছে। এ কারণে ১৭ মাসের মধ্যে সর্বনিন্ম হয়েছে দেশটির মুদ্রা।
রুবলের পতন নিয়ে পুতিনের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ম্যাক্সিম ওরেশকিন তাস নিউজ এজেন্সিতে একটি প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, ক্রেমলিন রুবলকে শক্তশালী অবস্থানে দেখতে চায় এবং শিগগির স্বাভাবিক পরিস্থিতির আশা করছে। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান করেন তিনি। ১৫ সেপ্টেম্বরে নীতি সুদহার বৃদ্ধির আগে এই পরিস্থিতির উন্নতি চান তিনি।
ওরেশকিন প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, রুবলের দরপতনের জন্য সবচেয়ে দায়ী দুর্বল আর্থিক নীতি। এই পরিস্থিতি শিগগির স্বাভাবিক করার সব টুল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে। আর্থিক নীতি টেকসই করার জন্য তাদের এখনই নীতিমালা প্রণয়ন করা উচিত।
‘দুর্বল রুবল অর্থনীতিকে জটিল করে তুলেছে একং জনগণের প্রকৃত আয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। রাশিয়ার অর্থনীতির স্বার্থেই শক্তিশালী রুবল দরকার,’ যোগ করেন তিনি।
রাশিয়ার অর্থনীতিতে নাটকীয় পরিবর্তনের কারণে দেশটির নীতিপ্রণেতাদের পক্ষে কিছু করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে। যদিও এই নীতিপ্রণেতারা যুদ্ধ শুরুর পরপর বেশ দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামলেছিলেন। কিন্তু স্বল্পমেয়াদি সমস্যার পাশাপাশি অনেক দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাও রয়েছে, যেগুলো মোকাবিলা করতে গিয়ে তারা এখন রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন।