আরেকটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন

রাশিয়ার সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে চাই। এ ব্যাপারে রাশিয়ার অব্যাহত সহযোগিতা প্রয়োজন। গতকাল সোমবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি রাশিয়ার সমর্থন ও সহযোগিতা চান। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের পর এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। সূত্র: বাসস

এর আগে রোববার (১১ অক্টোবর) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) মূল যন্ত্র রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল স্থাপনের কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। আলেক্সি লিখাচেভ ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।

বলা হচ্ছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে রাশিয়ার সেরা কর্মকৌশল চর্চা, বহু বছরের অভিজ্ঞতা ও বৈজ্ঞানিক চিন্তাকে কাজে লাগানো হয়েছে এবং প্যাসিভ সিস্টেমের অনন্য সংমিশ্রণ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিত করবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পিত স্তরের নিশ্চয়তা দেবে। পাবনার আরএনপিপি, যার দুটি ইউনিট রয়েছে, প্রত্যেকটির ক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। এটি দেশের প্রথম এ ধরনের বিদ্যুৎ প্রকল্প।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দক্ষিণাঞ্চলে আরও একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

সাক্ষাৎকালে নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী রোসাটমের মহাপরিচালককে স্থানীয়দের প্রশিক্ষণ দেয়ার আহ্বান জানান; যাতে তারা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) চালাতে পারেন।

আলেক্সি লিখাচেভ বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার পারস্পরিক সহযোগিতা পারমাণবিক ক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে এবং ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তিধর দেশে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, আরএনপিপি পরিচালনার জন্য তারা বাংলাদেশিদের প্রশিক্ষণ দেবেন এবং দেশের বিদ্যুৎ খাতে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

তিনি স্থানীয় কর্মীদের প্রশংসা করে বলেন, ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান ও অন্যান্য জনবলসহ ২০ হাজারের বেশি মানুষ আরএনপিপিতে কাজ করে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন। অনেক বাংলাদেশি কোম্পানিও সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করছে। তিনি আরএনপিপি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পরমাণু কমিশনের সহযোগিতারও প্রশংসা করেন।

নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি জানান, তারা আরএনপিপির নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবেন এবং প্লান্টের কাছাকাছি এলাকায় সামাজিক উন্নয়নেও কাজ করছেন।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর সামনে আরএনপিপির কারিগরি ও নিরাপত্তার দিকগুলোও উপস্থাপন করেন। আলেক্সি লিখাচেভ আরএনপিপি বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন রাশিয়ান ফেডারেশনের সমর্থনের কথাও স্মরণ করেন। তিনি মহাপরিচালককে বলেন, কভিড-১৯ মহামারি বাংলাদেশের অগ্রগতি কিছুটা থামিয়ে দিয়েছে, কিন্তু এখন তা কাটিয়ে উঠে এগিয়ে যাচ্ছে।

রোসাটম মহাপরিচালক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আরএনপিপিতে কর্মরত ৯০ শতাংশের বেশি রাশিয়ান নাগরিককে তারা টিকা দিয়েছেন।

এ সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব জিয়াউল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০