শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাশিয়া ও ইউক্রেন উত্তেজনার কারণে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি সরবরাহে সংকট দেখা দিতে পারে। এ আশঙ্কায় ইতোমধ্যে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে গেছে। খবর: বিবিসি।
সম্প্রতি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চলকে (দোনেস্ক ও লুহানস্ক) রাশিয়া ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এরপর সেখানে সেনা পাঠান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এ খবরে গতকাল ফিউচার মার্কেটে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম প্রায় ৯৮ মার্কিন ডলারে ওঠে।
রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে পরিণতি হবে ভয়াবহ বলে হুশিয়ারি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। দোনেস্ক ও লুহানস্কে সেনা পাঠানোর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবরোধ আরোপের হুমকি দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। এ কারণে তেলের বাজার অস্থির হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া। বিশ্বে যে জ্বালানি তেল প্রতিদিন ব্যবহার হচ্ছে, তার প্রতি ১০টি ব্যারেলের মধ্যে একটি আসে রাশিয়া থেকে। এছাড়া প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনে শীর্ষে রয়েছে দেশটি। এই গ্যাসের ওপর ইউরোপের দেশগুলো নির্ভরশীল বলা চলে। তাই রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড় ধরনের অবরোধ বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে তেল ও গ্যাস সরবরাহের ওপর তার প্রভাব পড়বে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার এ উত্তেজনার ‘উল্লেখযোগ্য প্রভাব’ পড়তে পারে বিশ্ব বাজারে। নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া যদি তেল ও গ্যাস সরবরাহ কমাতে বাধ্য হয়, বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়বে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে এবারের শীতে জ্বালানির চাহিদা তুলনামূলক বেশি ছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাবে তেল-গাস সরবরাহে সংকট রয়েছে দেশটিতে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ইউক্রেন ঘিরে উত্তেজনা। এসব কারণে তেলের দাম ১১০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
একই সঙ্গে মহামারির কারণে পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়েছে। যুদ্ধ শুরু হলে দাম বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি তেল সরবরাহ করা নিয়ে সমস্যা দেখা দেবে।