Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 6:50 pm

রাশিয়া-ইউক্রেন কে কার পাশে?

শেয়ার বিজ ডেস্ক: গতকাল ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এর মধ্য দিয়ে যুদ্ধ শুরু হলো। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের অনেক দেশ তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছে। কেউ রাশিয়াকে সমর্থন করছে, কেউবা ইউক্রেনকে। খবর: দি উইক।

রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে শুরু থেকে সরব যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের দিকে রাশিয়া নজর দেয়ার সময় থেকে মস্কোর কড়া সমালোচনা করছে ওয়াশিংটন।

ইউক্রেনের পাশে রয়েছে সামরিক জোট ন্যাটো। এর সদস্যভুক্ত সব দেশ রাশিয়ার আক্রমণ রুখতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছিল। তবে ন্যাটোর ৩০টি দেশের মধ্যে ১০টির অবস্থান রাশিয়ার কাছাকাছি। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরে ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র এই দেশগুলোকে ন্যাটোভুক্ত করে। রাশিয়ার একদম কাছে থাকা এই দেশগুলোর পক্ষে রাশিয়ার বিপক্ষে যাওয়া বেশ কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতি সামলাতে ন্যাটো সেনা রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও বুলগেরিয়ায় মোতায়েন করা আছে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোর অনেক দেশ রাশিয়ার নিন্দা করলেও তাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংঘাতে জড়াবে না বলেও পরিষ্কার করেছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য ন্যাটো দেশগুলোর মতো নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেনি ইউরোপের দেশগুলো। নর্ড গ্যাস পাইপলাইন চুক্তি তার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন দিচ্ছে চীন। দুই দশক ধরে রাশিয়া ও চীনের সম্পর্ক ভালো। দেশ দুটি অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। এমনকি মহাকাশ গবেষণায়ও দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করছে এই দুই দেশ। রাশিয়ার পাশে রয়েছে উত্তর কোরিয়া, ইরান ও নিকারাগুয়া। নিরপেক্ষ থাকছে ভারত।

উভয়-সংকটে রয়েছে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশগুলো। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে বুলগেরিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, রোমানিয়া, লিথুয়ানিয়া ও সেøাভাকিয়া। এসব দেশ একসময় রাশিয়ার সামরিক জোটসঙ্গী ছিল। দেশগুলোর ওপর রাশিয়ার প্রভাব এখনও রয়েছে।

রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি গোষ্ঠীর (সিএসটিও) অন্তর্গত দেশগুলো রাশিয়ার পাশে রয়েছে। কাজাখস্তান, বেলারুশ, আর্মেনিয়া, তাজিকিস্তান ও কিরঘিজস্তান এই পাঁচ দেশ সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরও সিএসটিওর মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত। এমনকি রাশিয়ার ওপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ আঘাতকে এই দেশগুলো নিজেদের ওপর আঘাত বলে মনে করবে এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাশিয়ার পাশে দাঁড়াবে।