মো. জিল্লুর রহমান: মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষে জোরালো ভূমিকা রেখেছিল। বাংলাদেশ সৃষ্টির সময় থেকে রাশিয়া এদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। ১৯৭১ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহায়তা না পেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করা কষ্টকর হতো। ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে এবং ২৫ জানুয়ারি দুই রাষ্ট্রের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তার উত্তরসূরি রাষ্ট্র রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক চালু রয়েছে। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দুই দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারত প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করলেও পরোক্ষভাবে সর্বাত্মক ভূমিকা রেখেছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। মিত্র দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এ রাষ্ট্রটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সপক্ষে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জোরালো পদক্ষেপ নেয়। এ রাষ্ট্রের অনমনীয়তার কারণেই পাকিস্তানের পক্ষে একাত্তরের ডিসেম্বরে বঙ্গোপসাগর অভিমুখে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েও তা ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতার পাশাপাশি স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাইন ও ধ্বংসাবশেষ অপসারণেও দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রেখেছে এ দেশটি।
আমরা অনেকেই হয়তো জানি, সে সময়ে বিশ্ব প্রধানত দুই শিবিরে বিভক্ত ছিল। এক শিবিরের নেতৃত্ব দিত যুক্তরাষ্ট্র, অপর শিবির নিয়ন্ত্রণ করত সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন। সোভিয়েত ইউনিয়ন সে সময় নীতিগত কারণে বিভিন্ন দেশের মুক্তি সংগ্রামে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা দিয়ে যেত। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ২৫ মার্চ গণহত্যার প্রেক্ষাপটে সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট নিকোলাই পদগোর্নি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের কাছে প্রেরিত এক বার্তায় পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক প্রাণহানি, নিপীড়ন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতার গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দমন-পীড়ন বন্ধ করে একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাধানের উপায় উদ্ভাবনের জন্য তিনি ইয়াহিয়ার প্রতি আহ্বান জানান। শীর্ষ দুই দেশের একটির তরফ থেকে এমন বার্তা মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ সঞ্চার করে।
১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর ভারত-বাংলাদেশের যৌথ বাহিনী ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যকার সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে সোভিয়েত ইউনিয়ন অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। পাকিস্তানের পরাজয়ের সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরে পরদিন ৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আনে। ‘একতরফা’ আখ্যায়িত করে সোভিয়েত ইউনিয়ন সে প্রস্তাবে ‘ভেটো’ দেয়। পরের দিন নিরাপত্তা পরিষদের অপর আটটি দেশ মার্কিন প্রস্তাবের অনুরূপ প্রস্তাব পেশ করলে সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয়বারের মতো তাতেও ‘ভেটো’ প্রয়োগ করে। নিরাপত্তা পরিষদে দুই-দুইবার সোভিয়েত ‘ভেটো’র সম্মুখীন হয়ে পাকিস্তান ও আমেরিকা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যুদ্ধবিরতি ও সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব আনে। সোভিয়েত ইউনিয়নসহ কয়েকটি দেশের বিরোধিতা সত্ত্বেও সাধারণ পরিষদে ওই প্রস্তাব পাস হয়ে যায়। প্রস্তাব উপেক্ষা করে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ বাহিনী যুদ্ধ অব্যাহত রাখে। সোভিয়েত ইউনিয়নের নিরঙ্কুশ সমর্থন এক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক ছিল।
যুদ্ধ চলাকালে সোভিয়েত ইউনিয়ন বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক সামরিক ও আর্থিক সহায়তা এবং সামগ্রিকভাবে নৈতিক সমর্থন প্রদান করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষদিকে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর কাছে প্রায় পরাজিত পাকিস্তানকে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে মার্কিন সপ্তম নৌবহর পাঠায়। এর প্রত্যুত্তরে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হুমকি প্রতিহত করার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর এবং ১৩ ডিসেম্বর ভøাডিভস্তক থেকে সোভিয়েত প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের দুই স্কোয়াড্রন ক্রুজার ও ডেস্ট্রয়ার এবং পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত একটি পারমাণবিক ডুবোজাহাজ পাঠায়। সোভিয়েত নৌবহরের আগমনের ফলে মার্কিন নৌবহর পাকিস্তানকে সহায়তা করতে ব্যর্থ হয়। সোভিয়েত নৌবহর ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহরকে তাড়া করে বেড়ায়। এছাড়া সোভিয়েত নৌবাহিনী গোপনে ভারতীয় নৌবাহিনীকে সহায়তা করে এবং পাকিস্তান নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে গুপ্ত অভিযান পরিচালনা করে।
এদিকে সপ্তাহখানেকের ভেতর পাকিস্তানের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গেলে দুই নৌবহর বঙ্গোপসাগরে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ানোর আগেই চীন আকস্মিকভাবে ঘোষণা দেয়, তারা পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে সরাসরি যুদ্ধে জড়াবে না। চীনের এই ঘোষণায় স্তম্ভিত যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম নৌবহরকে নিশ্চল করে ফেলে। এরপর ১৩ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে নিরাপত্তা পরিষদে আবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উঠলে সোভিয়েত ইউনিয়ন ঠাণ্ডা মাথায় তৃতীয়বারের মতো তাতেও ‘ভেটো’ দেয়। অতঃপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় থাকে না এবং বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বাংলাদেশ রাশিয়ান ফেডারেশনকে এর উত্তরসূরি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখে। গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল না। বসনীয় যুদ্ধ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ঘটনায় এসময় বাংলাদেশ ও রাশিয়া ভিন্ন পক্ষ অবলম্বন করে। পরবর্তীকালে চলতি শতাব্দীর প্রথম দশকে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের উন্নতি ঘটে।
২০০৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেন্ট পিটার্সবার্গ সফর করেন এবং তৎকালীন রুশ প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা আবার মস্কোতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ২০১৪ সালের ক্রিমিয়া সংকটের সময় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা রাষ্ট্রের মতো রাশিয়ার বিরোধিতা না করে নিরপেক্ষতা অবলম্বন করে।
রাশিয়া বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনীকে অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহকারী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। এজন্য রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ ১০০ কোটি ডলারের একটি সমরাস্ত্র কেনার চুক্তি করেছে এবং এর আওতায় সেনাবাহিনীর জন্য ট্যাংকবিধ্বংসী মিসাইল ও সাঁজোয়া যান, বিমানবাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণ জঙ্গি বিমান, পণ্যবাহী হেলিকপ্টারসহ নানা অস্ত্রসম্ভার সংগ্রহ করছে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ রাশিয়ার কাছ থেকে মেতিস-এম ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহ করে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে বাংলাদেশ রাশিয়ার কাছ থেকে ১৬টি ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান ক্রয় করে এবং ২০১৬ সালে রাশিয়া থেকে ছয়টি এমআই-১৭১ এসএইচ হেলিকপ্টার ক্রয় করে। এছাড়া বাংলাদেশ রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা বিটিআর-৮০ সাঁজোয়া যান জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষার কাজে ব্যবহার করছে।
রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন এবং কিছু শুল্ক জটিলতার কারণে রাশিয়ার সঙ্গে কাক্সিক্ষত মাত্রায় বাণিজ্য বৃদ্ধি করা যাচ্ছে না। রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন জটিলতার কারণে বাংলাদেশ বাধ্য হয়ে অন্য দেশের মাধ্যমে রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানি করছে। উভয় দেশের ব্যবসায়িক স্বার্থে এসব সমস্যা দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে সমাধা করা জরুরি। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রাশিয়ায় রপ্তানি করেছে এবং একই সময়ে আমদানি করেছে ৪৬ কোটি ৬৭ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
২০১২ সালে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ শক্তির উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ২০১৩ সালে রাশিয়া পাবনার রূপপুরে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, যার ৯০ শতাংশ দেবে রাশিয়া সরকার। ২০১৬ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ২০২৪ সালের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিট নির্মাণ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যায়।
বাংলাদেশের প্রথম এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ এগিয়ে নিচ্ছে রুশ প্রতিষ্ঠান এএসই গ্রুপ অব কোম্পানি। বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম পর্যায়ের কাজ এরই মধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষেই শুরু হবে মূল কেন্দ্র নির্মাণের কাজ। এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ভিভিইআর পাওয়ার ইউনিট থাকবে, যার প্রত্যেকটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে প্রথম ইউনিটটি উৎপাদনে যাওয়ার কথা ২০২২ সালে এবং দ্বিতীয় ইউনিটটির ২০২৩ সালে উৎপাদনে যাওয়ার কথা।
অন্যদিকে বাংলার সঙ্গে রাশিয়ার সাংস্কৃতিক যোগসূত্র স্থাপিত হয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে। রাশিয়ার অনেক শিল্পী-সাহিত্যিক আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক জনমত তৈরিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছিলেন। রাশিয়া সরকার বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে। এ দেশের অনেক শিক্ষার্থী রাশিয়ায় গিয়ে পরমাণুবিদ্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে রাশিয়া সরকার এ সুযোগ আরও বাড়াবে। এছাড়া বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করছে এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়াবে বলে রাশিয়া সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের বৈদেশিক বা পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি হলোÑ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।’ এই নীতি অনুসরণ করে বৈদেশিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সবসময়ই বিংশ শতাব্দীর স্নায়ুযুদ্ধে প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর পক্ষাবলম্বন থেকে বিরত থেকেছে। একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র হওয়ার কারণে অন্যান্য মুসলিম দেশের বাংলাদেশের সঙ্গে সুদৃঢ় কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক রয়েছে। ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ ও রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি পূর্ণ হবে এবং এটা হবে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ঐতিহাসিক কারণে এবং বাস্তবতার নিরিখে বন্ধুপ্রতিম দুটি দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ ও দৃঢ় সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যায়। ব্যাংক কর্মকর্তা ও মুক্ত লেখক
rbbbp@gmail.com