শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি করতে চায় আফগানিস্তানের বর্তমান সরকার। মুদ্রার পরিবর্তে নানা ধরনের পণ্যের বিনিময়ে এ জ্বালানি চায় দেশটির সরকার। খবর: আরটি।
তালেবান প্রশাসনের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী নুরুদ্দীন আজিজ রাশিয়ার গণমাধ্যম আরটিকে বলেন, নানা খনিজ দ্রব্যের পাশাপাশি কিশমিশ ও ভেষজ ওষুধের বিনিময়ে আমরা রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি করতে চাই। নুরুদ্দীন আজিজ আরও বলেন, রাশিয়া থেকে জ্বালানি সম্পদ আমদানি করতে চাই। তবে তার বিনিময়ে আমরা কিছু অরগানিক পণ্য সরবরাহ করতে পারব।
সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তান ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়ায় প্রচুর পরিমাণে কিশমিশ সরবরাহ করে। আমরা শত টন এ ধরনের পণ্য সরবরাহ করতে পারি। ঔষধি গাছের দাম এখন অনেক বেশি এবং রাশিয়ার ওষুধের জন্য এ-জাতীয় কাঁচামাল প্রয়োজন। আমরা রাশিয়ার কারখানাগুলোয় কাঁচামাল সরবরাহ করতে পারি, যেমনটি এরই মধ্যে চীনের সঙ্গে করছি। কাবুল রাশিয়ার অপরিশোধিত এক মিলিয়ন ব্যারেল বা তারও বেশি জ্বালানি কিনতে চায়।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে চীনের। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ বিনিয়োগ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশগুলোয় প্রভাব ফেলেছে চীন।
বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে আফগানিস্তান প্রস্তাবটি দিয়েছে। ২০২১ সালে তালেবান দেশটির ক্ষমতা দখল করে। এরপর আফগানিস্তানের ৭০০ বিলিয়ন ডলার আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস জানায়, শিগগির এ অর্থ আফগানিস্তানের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা চলছে, কিন্তু এতে সময় লাগবে। রাতারাতি কোনো কাজ হওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া আরও ২০০ কোটি ডলার জব্দ করে যুক্তরাজ্য ও জার্মানিসহ কয়েকটি দেশ। চলতি বছর মার্চে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের পড়ালেখার সুযোগ বন্ধ করায় আফগানিস্তানে ৬০ কোটি ডলারের প্রকল্প স্থগিত করে বিশ্বব্যাংক।
এখন পর্যন্ত কোনো দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্ত হিসেবে জনজীবনে নারীদের অংশগ্রহণে বিধিনিষেধ তুলে নিতে বলা হয়েছে।