আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়া থেকে তেল, গ্যাস ও কয়লা আমদানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস থেকে এই ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ‘পুতিন যে যুদ্ধে জড়িয়েছেন তাতে আমরা সহায়তা করব না।’ খবর বিবিসি।
বাইডেন বলেন, ‘আমদানি বন্ধের ফলে যুক্তরাষ্ট্র সমস্যায় পড়বে। তবে আমার দেশের আইনপ্রণেতারা রাশিয়া থেকে আমদানি বন্ধের ব্যাপারে একমত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ আমদানি বন্ধ করায় যুক্তরাষ্ট্রে দাম বেড়ে যেতে পারে। এই আশংকা থাকার পরও যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টির নেতারা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে একমত। ইউক্রেনের নিরাপত্তা সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র ১০০ কোটি মার্কিন ডলার দেবে বলেও ঘোষণা করেছেন বাইডেন।’
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, এ সিদ্ধান্তের প্রভাব রাশিয়ার ওপর ভয়ংকর ভাবে পড়বে এবং অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি হবে।
যুক্তরাষ্ট্র বিদেশ থেকে যে অপরিশোধিত তেল ও পরিশোধিত পণ্য আমদানি করে, তার আট শতাংশ আসে রাশিয়া থেকে আর যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে পরিমাণটা হলো ছয় শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, এটা একটা খুবই শক্তিশালী বার্তা। এখন যা পরিস্থিতি হলো, তাতে রাশিয়াকে হয় আন্তর্জাতিক আইন মানতে হবে, যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে, নাহলে তাদের হাতে কোনো অর্থ থাকবে না।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারাও কয়েকটি দেশে কিছু কাঁচামাল ও পরিশোধিত পণ্য পাঠানো বন্ধ করে দেবে। তবে কী কী পণ্য পাঠানো তারা বন্ধ করবে সেই তালিকা এখনো দেয়া হয়নি। তেল-গ্যাস ছাড়াও রাশিয়া থেকে পশ্চিমা দেশগুলো দানাশস্য ও মাংস কিনে থাকে।
রাশিয়া আগেই হুমকি দিয়েছে, তাদের ওপর তেল ও গ্যাস নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি হলে, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি তিনশ ডলার হবে। তার ধাক্কা বিশ্বের প্রতিটি দেশের ওপর এসে পড়বে। তাছাড়া তারা জার্মানিকেও গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি এখনো। জার্মানিসহ ইউরোপের অনেক দেশই রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা ২০৩০ সালের আগেই শেষ করে দেবে।