শেয়ার বিজ ডেস্ক : টানা ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ এই আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মস্কোর দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা পৌঁছেছে নতুন উচ্চতায়। আর এর মধ্যেই নতুন একটি নৌ-ডকট্রিন বা মতবাদে স্বাক্ষর করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার নৌবাহিনীর গৃহীত এই নতুন নীতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে দেশটির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বলে নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (৩১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার জার পিটার দ্য গ্রেটের প্রতিষ্ঠিত সাবেক রুশ সাম্রাজ্যের রাজধানী সেন্ট পিটার্সবার্গে দেশটির নৌ-দিবসের ভাষণে পুতিন রাশিয়াকে একটি শক্তিশালী নৌ-শক্তিতে পরিণত করায় এবং বিশ্বে রুশ রাষ্ট্রের মর্যাদা বৃদ্ধি করায় পিটারের প্রশংসা করেন।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে পুতিন জানান, রাশিয়ার জিরকন হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র যেকোনো সম্ভাব্য আক্রমণকারীকে পরাজিত করার মতো সামরিক শক্তি রাশিয়ার আছে।
এ বক্তব্যের আগে পুতিন নৌবাহিনীর ৫৫ পাতার নৌ-নীতিতে স্বাক্ষর করেন। এ নীতিতে রাশিয়ার নৌবাহিনীর বিস্তৃত কৌশলগত লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তাতে রাশিয়াকে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত একটি ‘আসামান্য সামরিক শক্তিতে’ পরিণত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
এ নীতিতে রাশিয়ার প্রধান হুমকি হিসেবে ‘বিশ্বের মহাসাগরগুলোতে প্রভাব বিস্তার করার যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত নীতি’ এবং রাশিয়ার সীমান্তের কাছে ন্যাটো সামরিক জোটের তৎপরতার কথা বলা হয়েছে।
নীতিতে আরও বলা হয় যদি কূটনীতিক ও অর্থনৈতিক উপায়গুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে তাহলে ওই পরিস্থিতিতে রাশিয়া মহাসাগরগুলোতে তাদের সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে পারে।
বিশ্বজুড়ে রাশিয়ার পর্যাপ্ত নৌ-ঘাঁটি নেই, এমনটি স্বীকার করে রাশিয়া অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে কৌশলগত ও নৌ বিষয়ক সহযোগিতার উন্নয়ন এবং পাশপাশি ইরান, ইরাক, সৌদি আরব ও ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াবে বলে ঘোষিত নৌ-নীতিতে বলা হয়েছে।