শেয়ার বিজ ডেস্ক : রাশিয়ার মতো চীনও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় হুমকি বলে মনে করেন মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান মাইক পম্পেও। তিনি বলেন, পশ্চিমাদের ওপর চীনের প্রভাব বিস্তারের উদ্যোগ ও চেষ্টা রাশিয়ার ধ্বংসাত্মক নীতির মতোই উদ্বেগজনক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিআইএ প্রধান এই মন্তব্য করেছেন।
মাইক পম্পেও জানান, রাশিয়ার চেয়ে চীনের বড় ধরনের পদক্ষেপ রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি তুলে ধরেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক তথ্য চুরি করছে এবং ইউরোপ ও ব্রিটেনের স্কুল ও হাসপাতালে অনুপ্রবেশ করছে।
সিআইএ প্রধান হওয়ার আগে মাইক পম্পেও একজন কট্টর রিপাবলিকান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পম্পেও বলেন, ভেবে দেখুন দুই দেশের অর্থনীতির আকার। নিজেদের মিশন বাস্তবায়নে রাশিয়ার চেয়ে বড় ধরনের উদ্যোগ রয়েছে চীনের।
এই বছরের শুরুতে এক সাবেক সিআইএ কর্মকর্তাকে চীনে গোয়েন্দাবৃত্তি ও গোপন তথ্য সংগ্রহ করায় গ্রেফতার করে বেইজিং। এর দুই বছর আগে চীন প্রায় ২০ জন মার্কিন তথ্যদাতাকে গ্রেফতার করে।। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কার্যক্রমের সাম্প্রতিক কালে এটা ছিল সবচেয়ে বিপর্যয়কর ঘটনা। তবে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ওই সময় এজেন্টদের পরিচয় ফাঁসের জন্য বিশ্বাসঘাতক নাকি তথ্য হ্যাকিং দায়ী, তা নিশ্চিত করতে পারেননি।
যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের শেষদিকে হতে যাওয়া মধ্যবর্তী নির্বাচনেও রাশিয়া হস্তক্ষেপ করতে পারে বলেও ধারণা করছেন মাইক পম্পেও।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ক্ষতি করতে মস্কোর চেষ্টা কমেছে এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
সিআইএ প্রধানের শঙ্কা, উত্তর কোরিয়া কয়েক মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষেপণাস¿ হামলার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব পালনে উপযুক্ত নন, আলোচিত বই ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি: ইনসাইড দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউস’-এ বলা সাংবাদিক মাইকেল ওলফের এ ভাষ্যকে ‘আবোলতাবোল’ বলেও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
মস্কো এবং ট্রাম্প অস্বীকার করলেও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে অভিযোগ করে আসছে। ওভাল অফিসে বসার পর প্রথম বছরের পুরোটাই ট্রাম্পকে এ অভিযোগ মোকাবিলা করতে হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে ক্রেমলিনের সঙ্গে রিপাবলিকান শিবিরের সংযোগ এবং সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেস ও বিচার বিভাগে তদন্তও চলছে।
পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে ট্রাম্পের করা বিভিন্ন টুইট ও খোলামেলা বক্তব্যেও আপত্তি দেখছেন না সিআইএ প্রধান। উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে ট্রাম্পের ধারাবাহিক টুইট দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উনকে স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।
পিয়ংইয়ং ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সফলতা আছে বলেও দাবি করেন পম্পেও। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সাম্প্রতিক ভোটকে ইঙ্গিত করে পম্পেও বলেন, চীন উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে সরে আসছে। তবে এখনও এ বিষয়ে বেইজিংয়ের আরও অনেক কিছু করার আছে বলেও মন্তব্য তার।