রাষ্ট্রদূত বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন এরদোয়ান

শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রসহ তুরস্কে নিযুক্ত ১০টি পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। কারাবন্দি এক নেতার মুক্তি দাবি করায় স্থানীয় সময় গত শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি এ ১০ রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। খবর: রয়টার্স।

এদিকে পশ্চিমা ওই রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কারের হুমকির দুই দিন পর সোমবার দেশটির মুদ্রা লিরার মান ডলারের বিপরীতে রেকর্ড এক দশমিক ছয় শতাংশ হ্রাস পায়। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি এবং মুদ্রা অবমূল্যায়ন ঠেকাতে এরদোয়ান আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। এছাড়া সোমবার দূতাবাসগুলোর পক্ষ থেকে কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে তুরস্কের সঙ্গে তার পশ্চিমা মিত্রদের একটি পূর্ণ মাত্রার কূটনৈতিক সংকট আপাতত শান্ত হলো।

স্থানীয় সময় সোমবার এরদোয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তারা (রাষ্ট্রদূতেরা) তাদের অবস্থান থেকে সরে এসে আরও সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব শেষে এরদোয়ান টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বক্তৃতায় বলেন, ‘সংকট সৃষ্টি করা কখনোই আমাদের লক্ষ্য নয়। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের অধিকার, আইন, সুনাম ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা।’

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আজ (সোমবার) একই দূতাবাসগুলোর পক্ষ থেকে নতুন একটি বিবৃতিতে আমাদের দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে এমন অপবাদ দেয়া থেকে এক ধাপ পিছিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এ রাষ্ট্রদূতেরা তুরস্কের সার্বভৌম অধিকার সম্পর্কে তাদের বিবৃতির ব্যাপারে আরও সতর্ক হবেন।’

গত ১৮ অক্টোবর যৌথ বিবৃতিতে সুশীল সমাজের কারাবন্দি নেতা ওসমান কাভালার মুক্তি নিশ্চিত করতে তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানান আঙ্কারায় নিযুক্ত ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত। বিবৃতির পর তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে এরদোয়ান বলেন, এসব রাষ্ট্রদূতকে তুরস্কে জায়গা দেয়া উচিত নয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকে তুরস্কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার নির্দেশ দেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০