রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের নিয়োগের ফল পুনঃমূল্যায়নের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রায়ত্ত সাত ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ২০১৯ সালভিত্তিক অফিসার (সাধারণ) পদের নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) পরীক্ষা গত ২১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় এক লাখ ৩৩ হাজার আবেদনকারীর বিপরীতে ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ২১ হাজার ৭৭৭ জন। বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের দাবি, অনেকে বেশি নম্বর পেয়েও উত্তীর্ণদের তালিকায় স্থান পাননি। কিন্তু কম নম্বর পেয়েও তালিকায় স্থান পেয়েছেন এমন পরীক্ষার্থীও আছে বলে দাবি করেছেন অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীরা।

এজন্য ফলাফল যথার্থ হয়নি দাবি করে পুনঃমূল্যায়নের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন পরীক্ষার্থীরা। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে তারা মানববন্ধন করেন। উপস্থিত সাংবাদিকদের পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, সমন্বিত সরকারি ৭টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ২০১৯ সালভিত্তিক অফিসার (সাধারণ) পদের নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) পরীক্ষার ফলাফল পুনঃমূল্যায়নের দাবিতে তারা মানববন্ধন করছেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির তত্ত্বাবধানে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক পরীক্ষা গ্রহণ, উত্তর মূল্যায়ন করে ও মানবণ্টনের দায়িত্ব দিয়ে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে। পরীক্ষা গ্রহণে দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও দায়িত্বপালন তদারকি করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মানববন্ধনের সময়ে তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। পরীক্ষার্থী মুছা সরকার বলেন, বিসিএসের প্রিলিমিনারি ও অডিট পরীক্ষায় টিকেছেন তিনি। কিন্তু ব্যাংকের এই পরীক্ষায় ৮৫ নম্বর পেয়েও টেকেননি। আপনি ৮৫ নম্বর পেয়েছেন এটা কীভাবে জানলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার প্রশ্ন অনেক সহজ হয়েছে। আমি পরীক্ষা শেষে নিজেই যাচাই করে দেখেছি, ৮৫ নম্বরের উত্তর সঠিক দিয়েছি। কিন্তু উত্তীর্ণদের তালিকায় আমার নাম আসেনি।’

আমার থেকে ১৫-২০ নম্বর কম পেয়েও অনেকে উত্তীর্ণদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। ফলে এই ফলাফলের যথার্থতা নিয়ে সন্দেহ ও সংশয় প্রকাশ করছি।

দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চলমান মানববন্ধনে পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন সেøাগান দিতেও দেখা যায়। ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন না করা পর্যন্ত মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালু রাখার কথাও জানানো হয়। মানববন্ধন চলাকালেই পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ফলাফল মূল্যায়ন চেয়ে গভর্নর ফজলে কবির এবং ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির মহাব্যবস্থাপক বরাবর একটি আবেদন জমা দেন।

ওই আবেদনে বলা হয়, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেনেছি, তারা যে নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে, তাদের থেকে বেশি নম্বর পেয়েও আমরা উত্তীর্ণ হতে পারিনি। আমাদের মধ্যে অনেকেই সিনিয়র অফিসার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। তাই আমাদের অভিজ্ঞতার আলোকে এই ফলাফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছি। তাই ফলাফল পুনঃমূল্যায়নের দাবি জানাচ্ছি।

যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির এক কর্মকর্তা বলেন, পরীক্ষার্থীরা যে আবেদনটি দাখিল করেছে, সেটি যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০