Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 2:51 pm

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো বাজারে এলে আস্থার সংকট কমে যেত

পুঁজিবাজারের মূল সমস্যা হচ্ছে আস্থার সংকট। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ভালো মানের কোম্পানি আনতে হবে। বিশেষ করে যদি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকেও আনা যেত, তাহলে কিছুটা হলেও বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরে পেত। এসব প্রতিষ্ঠানের না আসার কোনো কারণ নেই। রাষ্ট্রায়ত্তসহ বেসরকারি ও বহুজাতিক কোম্পানি বাজারে এলে মৌলিক কিছু পরিবর্তন আসত। গতকাল এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে বিষয়টি আলোচিত হয়।
মোহম্মদ ফোরকান উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির এবং এএফপির ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম।
ড. আহমেদ আল কবীর বলেন, পুঁজিবাজারের মূল সমস্যা হচ্ছে আস্থার সংকট। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং বাজারের উন্নতি করতে হলে ভালো মানের কোম্পানি আনতে হবে। অনেকে এ বিষয়টি শুধু মুখেই বলে যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না। বিশেষ করে যদি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকেও আনা যেত তাহলে কিছুটা হলেও বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরে পেত। এসব প্রতিষ্ঠানের না আসার তো কোনো কারণ দেখছি না। অর্থাৎ রাষ্ট্রায়ত্তসহ বেসরকারি
ও বহুজাতিক কোম্পানি বাজারে এলে বাজারের মৌলিক কিছু পরিবর্তন আসত।
আবার গত কয়েক বছরে বাজারে স্বচ্ছতা আনতে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। কিন্তু এসব পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছরে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের একটি গতিধারা সৃষ্টি হয়েছে। ধারা বজায় রাখতে আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।
শফিকুল আলম বলেন, ২০০১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিডিপি গ্রোথ ধারাবাহিকভাবে ছয় শতাংশের মতো ছিল। এখন জিডিপি গ্রোথ ছয় শতাংশ থেকে বেড়ে আট দশমিক ১৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ৪০ বছরের সবচেয়ে বড় জিডিপির গ্রোথ এটি। কিন্তু পুঁজিবাজারের কোনো প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। বরং আরও বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। সত্যিকার অর্থে বাজারে গুটিকয়েক মানসম্মত কোম্পানি রয়েছে।
হতাশার কথা হচ্ছে দেশের সবচেয়ে ভালো কোম্পানিগুলো বাজারে আনতে পারছে না। বাজার সম্প্রসারণ করতে হলে আরও ভালো কোম্পানি আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিদেশি বিনিয়োগ অনেক কম। কারণ এ বিষয়ে অনেক আগে থেকেই কাঠামোগত কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে গত দুবছরে বিদেশি বিনিয়োগে পরিবর্তন আসছে। বিশেষ করে জাপানি বিনিয়োগ অনেক বেড়েছে। কারণ জাপানিরা মনে করেন বাংলাদেশের ব্যবসার ব্যয় কমানোর সুযোগ রয়েছে এবং অধিক
মুনাফা অর্জন করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া চীনেরও অনেক বিনিয়োগ বেড়েছে। ২০১৮ সালে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ হয়েছে। গত ১০ বছর আগে তেমন কোনো বিদেশি বিনিয়োগ চোখে পড়ার মতো ছিল না। তবে আশাবাদী, সামনে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে।

শ্রুতিলিখন: শিপন আহমেদ