শেয়ার বিজ ডেস্ক: ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ও ইউএসএআইডি এগ্রিকালচার ভ্যালু চেইন প্রজেক্ট (ডিএআই) যৌথভাবে আয়োজিত ‘রাসায়নিকমুক্ত আমের উৎপাদন ও বাজার সম্প্রসারণ’ শীর্ষক আলোচনা সভা গতকাল রোববার ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান প্রধান উপস্থিত ছিলেন।
আবুল কাসেম খান বলেন, পৃথিবীতে আম উৎপাদনকারী শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম এবং প্রতিবছর প্রায় এক মিলিয়ন টন আম বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে-বিদেশে আমের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আমের চাষ বেড়েছে। তিনি জানান, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ প্রায় ৩০০ টন আম রফতানি করেছে। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আমে ফরমালিনসহ অন্যান্য কেমিক্যাল ব্যবহার রোধে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রয়োগ এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি আম উৎপাদন ও সংরক্ষণ প্রক্রিয়া আধুনিকায়নের লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি দেশের কৃষি বিশেষজ্ঞ, গবেষক এবং ব্যবসায়ী সমাজকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় ডিসিসিআই’র সাবেক সহ-সভাপতি ও ডিসিসিআই-ডিএআই প্রজেক্টের টিম লিডার মো. শোয়েব চৌধুরী বলেন, আম উৎপাদন ও পাকানোর ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমচাষি, ব্যবসায়ী ও ভোক্তাশ্রেণী সবাই সচেতন। তিনি জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আম পাকানোর জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে ‘চেম্বার’ রয়েছে, যেটি আমাদের দেশে এখনও গড়ে ওঠেনি। তিনি আম পাকানো প্রক্রিয়া উন্নয়নের লক্ষ্যে বেসরকারি খাতকে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় কনসিগলিয়ারি প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক শিবাজী রয় আমচাষ এবং এ খাতের স্টেকহোল্ডারদের ওপর পরিচালিত গবেষণার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, সারা দেশের ১২ জন আমচাষি এবং এ খাতের ১৫০ জন স্টেকহোল্ডারদের ওপর এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়। তিনি বলেন, আম পাকানোর ক্ষেত্রে ৭৫০ পিপিএম বা এর কম মাত্রায় ইথিফম ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হবে না। তিনি আরও বলেন, ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে ২০১৬ সালে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ৫১০ মণ আম বিনষ্ট করেছে।
Add Comment