রিজাভের অর্থ চুরির মামলা: ফের পেছালো প্রতিবেদন জমার দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালতের কাছ থেকে আবারও সময় নিয়েছে পুলিশ। পুলিশের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিবেদন জমার পরবর্তী দিন ঠিক হয়েছে ১৮ এপ্রিল।

গতকাল রোববার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত সুপার রায়হান উদ্দিন খান সময় চাইলে ঢাকা মহানগর হাকিম একেএম মঈনুদ্দীন সিদ্দিকী নতুন এ সময় ঠিক করেন।
প্রসঙ্গত, রিজার্ভের অর্থ চুরির মামলায় অভিযোগপত্র জমার দিন এ নিয়ে দ্বাদশবারের মতো পেছালো। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি সিআইডি। আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন জানান, গত বছরের ১৬ মার্চ আদালত মামলাটির তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশের পর মোট ১২টি নির্ধারিত দিনেও তা জমা দিতে ব্যর্থ হলো সিআইডি।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় এক বিলিয়ন ডলার সরানোর চেষ্টা হয়। এর মধ্যে চারটি মেসেজের মাধ্যমে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকে (আরসিবিসি) সরিয়ে নেওয়া হয় ৮১ মিলিয়ন ডলার। আর একটি মেসেজের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার একটি ‘ভুয়া’ এনজিওর নামে ২০ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেওয়া হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়। রিজাল ব্যাংকে যাওয়া টাকার একটি বড় অংশ পরে ফিলিপাইনের জুয়ার টেবিলে চলে যায়।

আইটি সিস্টেম হ্যাক করে চুরি হওয়া এ অর্থের বিষয়টি প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশ না করলেও গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফিলিপাইনের ইনকোয়ারার পত্রিকায় এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর তা জানাজানি হয়। মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনায় ফিলিপাইন সরকার আন্তর্জাতিকভাবে বেশ চাপের মুখে পড়ে। তারপর ফিলিপাইন বেশ তৎপর হয়ে ওঠে। এর মধ্যে ক্যাসিনো মালিকের ফেরত দেওয়া দেড় কোটি ডলার পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করতে আগস্টে ম্যানিলা যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি দল। যার ধারাবাহিকতায় আইনের সব বাধাবিপত্তি পেরিয়ে দীর্ঘ ৯ মাস পর ২৯ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইন থেকে ফিরে পায় বাংলাদেশ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০