এস এম আব্দুল্লাহ ফাহাদ: উন্নয়নশীল দেশে আমদানি ও রপ্তানির জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রিজার্ভ তলানিতে নেমে যাওয়ায় শতভাগ শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর আমদানিনির্ভর দেশ শ্রীলঙ্কাকে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল। বাংলাদেশও আমদানিনির্ভর হওয়ায় শঙ্কা রয়েই যায়।
কভিড মহামারির অভিঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। টালমাটাল হয়ে যায় বিশ্ব অর্থনীতি। আর বিশ্ব বাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য, মূলধনি যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ বেড়ে যায় বাংলাদেশেরও। তবে সেই তুলনায় রপ্তানি ও প্রবাসী আয় না বেড়ে আরও কমে যায়। ফলে দেশে তৈরি হয় ডলার-সংকট।
রপ্তানি, রেমিট্যান্স, বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানসহ অন্যান্য উৎস থেকে আসা বৈদেশিক মুদ্রা থেকে আমদানি, ঋণ ও সুদ পরিশোধ, বিদেশে শিক্ষা, বিদেশ ভ্রমণ ইত্যাদি নানা খাতে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রা বাদ দেয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে যে বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চিত থাকে, সেটাই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
স্বর্ণ, রূপা ও বৈদেশিক মুদ্রায় রিজার্ভ রাখা হয়। বর্তমানে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ রিজার্ভ হচ্ছে ডলার যা সহজে বিভিন্ন মুদ্রায় কনভার্ট করা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশের মুদ্রায় রিজার্ভ রাখে। এসব সম্পদের সম্মিলিত বাজার দরের পরিমাণই হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ।
কোন কোন খাত থেকে রিজার্ভে টাকা আসে?
রপ্তানি আয়: সর্বাধিক আয় হয়ে থাকে পোশাক রপ্তানি খাত থেকে। এ ছাড়া কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ এবং চিংড়ি রপ্তানিসহ অন্যান্য খাত থেকেও আয় হয়ে থাকে, যা রিজার্ভকে সমৃদ্ধ করে। পোশাকের রপ্তানি বাড়লেও অক্টোবরে সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি কমেছে।
রেমিট্যান্স: দেশের রিজার্ভ বাড়াতে দ্বিতীয় খাত হলো রেমিট্যান্স। ২ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) রেমিট্যান্স এসেছিল গড়ে ২০০ কোটি ডলার করে। সেপ্টেম্বরে তা কমে ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলারে নেমেছে। আর অক্টোবর মাসে আরও কমে এসেছে ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ ডলারে। ধীরে ধীরে কমে আসা ভালো লক্ষণ নয়।
বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই): বাংলাদেশ ব্যাংক বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ৭৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সরাসরি বিনিয়োগ এসেছে দেশে। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি। এই বিনিয়োগ রিজার্ভকে সমৃদ্ধ করে।
বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান: বিদেশি ঋণ ও অনুদান রিজার্ভ ত্বরান্বিত করে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য, ২০২৩ সাল শেষে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে। আর ২০২৪ সাল শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৩০ বিলিয়ন ডলারে।
সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ: প্রবাসী বন্ড বিক্রির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আসে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে প্রবাসী বন্ড বিক্রি হয়েছে ২০৭ কোটি টাকার।
রিজার্ভের টাকা যেসব খাতে খরচ হয়: ক. জাহাজ ভাড়া তথা আমদানি ভাড়ার ব্যয় মিটানো; খ. জ্বালানি ও সার আমদানিসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ডলার বিক্রি; গ. আমদানি ব্যয় মিটানো: খাদ্যপণ্য, গ্যাস, ভোজ্যতেল, কৃষি যন্ত্রপাতি ও গম-ভুট্টা ইত্যাদি আমদানিতে বিপুল পরিমাণ ডলার খরচ হয়ে থাকে; ঘ. ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধ করা;
ঙ. ভ্যাকসিন ও সিরিঞ্জ কেনা; চ. নদী ড্রেজিং; ছ. বিদেশি শ্রমিকদের বেতনভাতা পরিশোধ; জ. অন্যান্য কাজ: সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে রিজার্ভ ছিল ৩৪ বিলিয়ন ডলার। তার মধ্যে ৮ বিলিয়ন ডলার দিয়ে চারটি তহবিল গঠনসহ আরও কিছু কাজ করা হয়েছে। এর মধ্যে এক. ৭০০ কোটি ডলার রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ); দুই. গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ডে (জিটিএফ) ২০ কোটি; তিন. লংটার্ম ফিন্যান্সিং ফ্যাসিলিটিতে (এলটিএফএফ) ৩ কোটি ৮৫ লাখ; চার. সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে ৬৪ কোটি ডলার; পাঁচ. বাংলাদেশ বিমানকে চার কোটি ৮০ লাখ ডলার ঋণ দেয়া হয়েছে, ছয়. শ্রীলংকাকে দেয়া হয়েছে ২০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক যেভাবে রিজার্ভ হিসাব করে থাকে:
বাংলাদেশ ব্যাংক দুটি পদ্ধতিতে রিজার্ভ হিসাব করে থাকে: ১. গ্রস রিজার্ভ হিসাব, ২. নিট রিজার্ভ হিসাব
ক. গ্রস রিজার্ভ হিসাব: গ্রস রিজার্ভে বিভিন্ন খাতে যে বিনিয়োগ করা হয় তাও অন্তর্ভুক্ত থাকে। বর্তমানে রিজার্ভ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে, যা উঠে এলে মোট রিজার্ভ দাঁড়াবে ৩৫ বিলিয়ন ডলারে।
খ. নিট রিজার্ভ হিসাব: গ্রস রিজার্ভে থেকে বিভিন্ন খাতে যে বিনিয়োগ করা হয় সেটা বাদ দিয়ে যা থাকে তাই নিট হিসাব রিজার্ভ হিসেবে ধরা হয়, কারণ বিনিয়োগকৃত ডলার অনেক সময় উঠে আসতে দেরি হয়ে যায়। তাই বিনিয়োগ বাদ দিয়ে বর্তমানে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ হচ্ছে ২৬.৩ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে ৩ মাস আমদানি ব্যয় মিটানো সম্ভব। আর অন্তত ৩ মাস আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হলে সেটাকে অর্থনীতিবিদরা ভালো অবস্থানই ধরে থাকেন। যদিও আশঙ্কা থেকেই যায়।
রিজার্ভ কমলে কী সমস্যা হয়? অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থাকার মানে হলো, একটি দেশের আমদানি সক্ষমতা রয়েছে সেটি প্রমাণ হওয়া। অর্থনীতির তত্ত্বে বলা হয়, একটা দেশের অন্তত ৩ মাসের আমদানির খরচের সমমানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অবশ্যই থাকতে হবে। আসুন জেনে নেয়া যাক রিজার্ভ কমলে যেসব সমস্যা সৃষ্টি হতে পারেÑ
মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়া বা স্থানীয় মুদ্রার মান পড়ে যাওয়া: গত এক যুগে ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশী টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ। ২০১০ সালের শুরুতে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ৬৮ টাকা। বর্তমানে তা ৯৫ টাকা খোলা বাজারে ১১০ টাকার বেশি দরে ডলার বিক্রি হয়েছে। তাই রিজার্ভের উন্নতি না হলে টাকার দরপতন আরও বাড়বে; আমদানি মূল্য পরিশোধের সংকট (এলসি): রপ্তানি করা পণ্যের মূল্যপ্রাপ্তির নিশ্চয়তার লক্ষ্যে আমদানিকারকের পক্ষ নিয়ে ব্যাংক যে প্রত্যয়নপত্র দেয় তাকেই এলসি বলা হয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একমাত্র বৈধ মাধ্যম হলো এলসি। আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধে এলসির প্রয়োজন হয়। তাই এলসি করতে না পারলে ভোগ্যপণ্যÑযেমন চাল, গম, চিনি, গুঁড়ো দুধ, অপরিশোধিত ভোজ্য। শিল্পের কাঁচামালÑযেমন, কাঁচাতুলা, কৃত্রিম তন্তু, সুতা, কাপড়, অপরিশোধিত পেট্রোল ও পেট্রোলজাত দ্রব্য ওষুধ তৈরির কাঁচামাল, রাসায়নিক দ্রব্য, কয়লা। বাংলাদেশের মূলধনি যন্ত্রপাতি যেমনÑ কৃষি, শিল্প, সেবাকর্ম, ইত্যাদি খাতের উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনি যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য মূলধনি পণ্য আমদানি করতে সমস্যা হবে; ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধ অসুবিধা: বিদেশি ঋণের সুদ এবং মেয়াদ শেষ হওয়া ঋণ পরিশোধে বিশাল একটা পরিমাণ অর্থ ব্যয় যা ডলারে পরিশাধ করতে হয়, যা পুরোপুরি রিজার্ভের ওপর নির্ভর। ফলে রিজার্ভ কমে গেলে চক্রবৃদ্ধি হারে দেনা বাড়ে, কখনও বা ঋণ প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। অথচ বড় বড় মেগা প্রজেক্টগুলো ঋণের ওপরই নির্ভরশীল; তারল্য সংকট: রিজার্ভ কমলে এবং ডলারের দাম বাড়লে তখন বেশি দামে ডলার কিনতে হয়। ফলে নগদ টাকায় ডলার কেনায় তারল্য ঘাটতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়; ঋণ পেতে অসুবিধা: রিজার্ভ কমে গেলে বৈদেশিক ঋণ পেতে অসুবিধার সৃষ্টি হয়। কারণ রিজার্ভ কমে গেলে ঋণদাতারা নিরুৎসাহিত হয়। তখন ঋণ প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। অথচ বড় মেগা প্রজেক্টগুলো ঋণের ওপরই নির্ভরশীল; আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শর্ত পূরণ: একটি দেশ তার রপ্তানির বিনিময়ে অন্য দেশ থেকে প্রাপ্ত আমদানির অনুপাতই হলো বাণিজ্য শর্ত। আমাদের দেশ রপ্তানিরে চেয়ে আমদানি বেশি করে থাকে ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যেসব শর্ত পূরণে পিছিয়ে যেতে হবে যদি রিজার্ভ কম থাকে; অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন: ইতোমধ্যে ৩৪ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থেকে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন করা হয়েছে ৮ বিলিয়ন ডলার। ফলে বর্তমান রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬.৩ বিলিয়ন ডলারে। যদি আরও রিজার্ভ কমতে থাকে তাহলে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন জরুরি প্রকল্পে অর্থায়ন করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে; বিনিয়োগের নিশ্চয়তা: রিজার্ভ কমে গেলে বৈদেশিক বিনিয়োগ পেতে অসুবিধার সৃষ্টি হয়। যখন রিজার্ভ কমে যায় তখন বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হয়। কারণ রিজার্ভের সক্ষমতা দেখেই বিদেশিরা বিনিয়োগ করে থাকে, নতুবা বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত নেয়ার ঝুঁকির সৃষ্টি হয়।
করণীয়
বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ ৩টি পরামর্শ দিয়েছেন। আমদানি কমিয়ে আনা: এক্ষেত্রে অতি প্রয়োজনীয় ছাড়া সব ধরনের পণ্য আমদানি কমিয়ে আনতে হবে; ডলারের দাম নির্ধারণ: এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত ডলারের সর্বোচ্চ এক দাম নির্ধারণ করে দেয়া; বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা: এক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা যেতে পারে।
পরিস্থিতি সামলাতে আরও পদক্ষেপ নেয়া যায়। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি: কৃষিসহ নানান উৎপাদমুখী কাজে মনোযোগ বাড়িয়ে উৎপাদন যত বেশি পারা যায় বাড়াতে হবে। এটি হতে পারে সেরা একটি উপায়। কারণ তখন আমদানি যেমন করা লাগবে না, তেমনি নিজেরাই খাদ্যে স্বয়ংসর্ম্পূণ হওয়া যাবে; রপ্তানি বাড়ানো: সর্বাধিক আয় হয়ে থাকে পোশাক রপ্তানি খাত থেকে। এছাড়া কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ এবং চিংড়ি রপ্তানিসহ অন্যান্য খাত থেকেও আয় হয়ে থাকে, যা রিজার্ভকে সমৃদ্ধ করে। তাই আমাদের এদিকে নজর দিতে হবে; বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানো: যতটুকু পারা যায় দক্ষ শ্রমিক বিদেশে পাঠাতে হবে। এতে তারা আরও বেশি পরিমাণ করতে পারবে; রেমিট্যান্স বাড়ানো: নানান প্রণোদনা দিয়ে প্রবাসীদের থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে হবে। কারণ রেমিট্যান্স প্রবাহ ও গার্মেন্ট খাতের আয় দিয়েই সর্বোচ্চ রিজার্ভ এসে থাকে; খাদ্য মজুত করা: সরকার ও সাধারণ জনগণ সবাইকে খাদ্য সংগ্রহ ও মজুত করতে হবে। কারণ সবকিছু বসে থাকলেও জীবিকার কাজ চালু রাখতে হবে; সঞ্চয় করা: জরুরি খরচ ছাড়া বাকি অর্থ সঞ্চয় করা হতে পারে আরও একটি সেরা মাধ্যম। কারণ অর্থ থাকলে যে কেউ খাবার কিনে খেতে পারবে; কর প্রদান: সরকারি আয়ের বড় একটি খাত আয়কর। তাই আমাদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে; দান করা: যদি পরিস্থিতি ভালোর দিকে না থাকে তাহলে অসহায়, দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্যসহ জরুরি সহায়তার হাত বাড়াতে হবে; আল্লাহর ওপর আস্থা বৃদ্ধি: তওবা ও ইস্তিগফারের পাশাপাশি সব নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থেকে আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা বাড়াতে হবে। কারণ জলে ও স্থলে যত বিপর্যয় আসে সব মানুষের নিজের অর্জন। বিশ্বাস রাখতে হবে তিনিই পারবেন সবকিছু স্বাভাবিক করে দিতে।
গণমাধ্যম কর্মী