নিজস্ব প্রতিবেদক: ইস্টার্ন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ঋণের সর্বাচ্চ সীমা ১০ থেকে বাড়িয়ে ২০ লাখ টাকা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ক্রেডিট কার্ডের ঋণসীমা পাঁচ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা ও সিকিউরড ক্রেডিট কার্ডের সীমা করা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। গ্রাহকের চাহিদা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক ব্যক্তিখাতের ঋণসীমা বাড়ানোর অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সীমা বাড়ানো হয়।
এ ব্যাংকটিতে ব্যক্তিখাতের ঋণসম্ভারের মধ্যে এক্সিকিউটিভ ঋণের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। সহজ শর্তে গ্রহণ করা যায় বলে এ ঋণের চাহিদা বেশি। এ তথ্য জানিয়েছেন ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। ব্যক্তিজীবনের যেকোনো প্রয়োজন মেটাতে এ ঋণসেবা দিচ্ছে ইস্টার্ন ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে গ্রাহক এক লাখ থেকে ২০ লাখ টাকার মধ্যে যেকোনো পরিমাণ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। এ সীমার মধ্যে একজন চাকরিজীবী তার বেতনের ১৫ গুণ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। পাঁচ বছরের জন্য মাসিক কিস্তিতে এ ঋণ নেওয়া যাবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টশন কম লাগায় খুব কম সময়ে এ ঋণ নেওয়া যায়। কোনো অপ্রকাশিত সেবা ব্যয় নেই।
তবে ২২ বছরের কম ও ৬৫ বছরের বেশি ব্যক্তি এ ঋণ গ্রহণের জন্য অনুমোদিত নন। চাকরিজীবী ও স্বনির্ভর ব্যক্তি হলে কমপক্ষে দেড় বছরের অভিজ্ঞতা ও ২০ হাজার টাকা সর্বনি¤œ মাসিক আয় হতে হবে।
ব্যাংকটির কনজিউমার ব্যাংকিং বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আল-মামুন আনসার শেয়ার বিজকে জানান, রিটেইল ব্যাংকিং সেবাই ইস্টার্ন ব্যাংক এ দেশের ব্যাংকিং খাতের অন্যতম একটি নাম। ব্যাংকটির ভিসা ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার লেনদেনের আয়তনের বিচারে ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম সারির স্থানে। এক্সিকিউটিভ লোনের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। সহজ শর্তে সাধারণ কিছু ডকুমেন্টশনের কারণে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সহজেই সংগ্রহ করা যায় বলে এ ঋণের চাহিদা বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যক্তিখাতের ঋণের প্রতি সাম্প্রতিক ইতিবাচক মানসিকতা দেশের কনজিউমার ব্যাংকগুলো ও গ্রাহক উভয়ের জন্যই লাভজনক হবে।
Add Comment