নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে বিমা খাতের কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ৫৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৬০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে চার টাকা ৬৬ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৩১ মার্চ সকাল ১১টায় রাজধানীর গুলশানে লেক শোর হোটেলের (হাউস-৪৬, রোড-৪১) ভিটা হলে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ মার্চ।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয় পাঁচ টাকা ২১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ৬০ টাকা ৮২ পয়সা।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৮৩ শতাংশ বা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৪ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪৪ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে তিন লাখ ৬৬ হাজার ৪৭৬ শেয়ার মোট ৬২০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৬২ লাখ ১২ হাজার টাকা। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ার ৪৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৪৬ টাকায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩৫ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৫৩ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল পাঁচ টাকা ২৮ পয়সা ও এনএভি ৬৪ টাকা ৬৩ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে চার টাকা ৫৩ পয়সা ও ৫৫ টাকা ৮১ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১৪৩ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০৫ কোটি ১৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৪৮৫ কোটি ৯২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। মোট ১০ কোটি ৫১ লাখ ৬১ হাজার ৮৭ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৬৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ছয় দশমিক ৩৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ২৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত আট দশমিক ৫০ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৯ দশমিক ৫২।