শেয়ার বিজ ডেস্ক: ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি মুদ্রা রুপির রেকর্ড দরপতন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ২০৩ দশমিক ৪৫ পাকিস্তানি রুপিতে, খোলাবাজারে যা বিক্রি হয়েছে ২০৪ রুপিতে। খবর: ডন।
বিশ্লেষকদের মতে, জ্বালানির দাম পরিশোধে ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ সুবিধা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় ডলারের দাম বাড়ছে।
ফরেক্স অ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্তান (এফএপি) জানায়, গত সোমবার শেষ সময়ের তুলনায় ডলারের দর বেড়েছে দুই দশমিক ৮৫ রুপি। এতে প্রতি ডলার বিক্রি হয় ২০০ দশমিক ৪০ রুপিতে। এক দিনের মধ্যে গতকাল বেড়ে দাঁড়ায় ২০৩ দশমিক ৪৫ রুপিতে। উল্লেখ্য, এফএপি’র চূড়ান্ত দর স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের সরকারি দর ২০০ দশমিক ছয় রুপির চেয়ে সামান্য বেশি।
পাকিস্তানের আর্থিক তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণকারী পোর্টাল মেত্তিস গ্লোবালের পরিচালক সাদ বিন নাসের জানান, রুপির আরেক দফা দরপতনের সঙ্গে জ্বালানির দাম পরিশোধ ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের সম্পর্ক রয়েছে। আগামী সপ্তাহে ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের বৈঠক নিয়ে রুপি চাপে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
নাসের জানান, এর সঙ্গে আইএমএফের কার্যক্রম আবার শুরু হওয়া এবং চীনের ২৩০ কোটি ডলার পুনঃঅর্থায়নের অনিশ্চয়তার সঙ্গে মিলে রুপিকে নতুন দরপতনের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
এফএপি’র প্রধান মালিক বোস্তান জানান, চলতি মাসের শেষ দিন পর্যন্ত চাপে থাকবে রুপি। আইএমএফের ৬০০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তির অনিশ্চয়তা, জ্বালানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে সুদের হার আরও বাড়াতে হতে পারে। এ কারণে রুপির দর কমছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের শক্ত অবস্থানের কথাও উল্লেখ করেন বোস্তান।
একটি দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার অন্যতম সূচক বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার। কিন্তু স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের কাছে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে ঠেকেছে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় তলানিতে ঠেকায় পাকিস্তানের অর্থনীতির ওপর ব্যাপক চাপ পড়তে পারে।