শেয়ার বিজ ডেস্ক:পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলারে লেনদেন করতে না পারায় রাশিয়ার মুদ্রা রুবল আরও শক্তিশালী হয়েছে। খবর: সিএনবিসি।
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া রুবলে বৈদেশিক বাণিজ্য শুরু করে। বর্তমানে রাশিয়ার মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ হচ্ছে নিজ মুদ্রায়। ডলার বা ইউরোতে রাশিয়া বাণিজ্য করছে না, সেই সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধু নয়, এমন কোনো দেশের মুদ্রায়ও তারা বাণিজ্য করছে না। এই পরিস্থিতিতে রুবলের কদর বেড়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেন, বন্ধু দেশগুলো এখন আমাদের বিশেষ মনোযোগ দাবি করছে। কারণ তারাই বিশ্ব অর্থনীতির ভবিষ্যৎ। এরই মধ্যে এসব দেশ রাশিয়ার তিন-চতুর্থাংশ বাণিজ্যের অংশীদার।
তিনি ব্রাজিল, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো উদীয়মান বাজারগুলোর কথা উল্লেখ করে বলেন, ব্রিকস জোটের দেশগুলোর সঙ্গে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন বাড়ানোর চেষ্টা করবে মস্কো। বন্ধু নয়, এমন দেশগুলোর মুদ্রায় রাশিয়ার লেনদেন গত বছরের তুলনায় অর্ধেক হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
ভøাদিমির পুতিন আরও বলেন, আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রমে রুবলের অংশ বাড়ছে, বর্তমানে যা প্রায় ৪০ শতাংশে উঠেছে। তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে রুবলে লেনদেনের পরিমাণ এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বাজার ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনার কথাও বলেছেন পুতিন। যেমন, চলতি দশকের শেষ নাগাদ রাশিয়ার পুঁজিবাজারের আকার দ্বিগুণ করা, আমদানি কমানো ও স্থায়ী সম্পদে বিনিয়োগ বাড়ানো।
এদিকে রাশিয়ার মুদ্রা রুবলের সঙ্গে চীনের মুদ্রা ইউয়ানেও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়ছে। সৌদি আরবের কাছ থেকে চীন ইউয়ানে তেল কেনার বন্দোবস্ত প্রায় করে ফেলেছে। বস্তুত রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং মূল্যস্ফীতি রোধে ফেডারেল রিজার্ভ যেভাবে আগ্রাসী হারে নীতি সুদহার বাড়ায়, এর জেরে ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যায়। এতে প্রবল ডলার-সংকট দেখা দিলে অনেক দেশ বাধ্য হয়ে অন্যান্য মুদ্রায় লেনদেন শুরু করে। ব্রিকসও ডলারের পরিবর্তে অভিন্ন মুদ্রা বা নিজেদের মুদ্রায় লেনদেন করতে চায়। সে কারণেও রুবলের আন্তর্জাতিক লেনদেন বাড়ছে।
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের চেয়ে রাশিয়ায় ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত বছর দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, যদিও ২০২২ সালে রাশিয়ার অর্থনীতি ১ দশমিক ২ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল।