আলাউদ্দীন শাহরিয়ার, বান্দরবান: সড়ক ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলাবাসী ফিরেছে পুরোনো নৌপথে। প্রকৃতির আঘাতে লণ্ডভণ্ড প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম উপজেলা দুটি। দীর্ঘ ১৯ দিন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় খাদ্যসামগ্রীর সংকট তৈরি হয়েছে। বেড়েছে জিনিসপত্রের দামও।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ধসে ও পাহাড় ভেঙে পড়ে গত ৬ আগস্ট থেকে রুমা-থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় প্রশাসনের নির্দেশনায় রুমা এবং থানচি উপজেলাবাসীরা বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সাঙ্গু নদীপথে পুরোনো নৌপথে ফিরেছে। প্রতিদিনই নৌপথে ১৫ থেকে ১৭টি ইঞ্জিন নৌকা চলাচল করছে বর্তমানে। প্রতিটি নৌকায় ১০ জন করে যাত্রী ওঠানো হচ্ছে। ভোর ৫টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নদীপথে চলাচল করছে নৌকাগুলো। রুমা উপজেলায় যাতায়াতে নৌকাভাড়া ৩৫০ টাকা এবং থানচি উপজেলা যাতায়াতে ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৯০০ টাকা।
ক্যাছিংঘাটা বোট স্টেশনের সুপারভাইজার মোহাম্মদ মামুন বলেন, সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় নৌপথেই ভরসা রুমা-থানচি উপজেলাবাসীর। প্রশাসন থেকে নির্ধারিত ভাড়ায় ইঞ্জিন নৌকায় যাত্রীরা যাতায়াত করছেন প্রতিদিনই। স্থানীয়দের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও যাওয়া-আসা করছেন নদীপথে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও পরিবহন করা হচ্ছে নৌকায়। দুটি উপজেলায় নৌপথে প্রতিদিনই কমপক্ষে ১৬-১৭টি নৌকা যাওয়া-আসা করছে।
স্থানীয় বাসিন্দার জসিম উদ্দিন ও হ্লাগ্যচিং মারমা বলেন, নদীপথে নৌকায় যাতায়াতে মানুষজনের বহুমুখী সমস্যা হচ্ছে। ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। যাতায়াত খরচ বেড়ে যাওয়ায় রুমা এবং থানচি উপজেলায় জিনিসপত্রের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। যাতায়াতের দু’ঘণ্টার সড়ক যেতে লাগছে ছয় ঘণ্টা। জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত উপজেলা সড়ক সংস্কার করে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, রুমা ও থানচি উপজেলায় নৌপথে যোগাযোগ চালু হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। তারপরও নির্দেশনার ব্যত্যয় হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রুমা ও থানচি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক যোগাযোগ মেরামতের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে।