Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 1:48 pm

রুম্পা হত্যা মামলায় বন্ধু সৈকত রিমান্ডে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলায় তার বন্ধু আবদুর রহমান সৈকতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। রুম্পাকে ‘সাবেক প্রেমিক’ সৈকত ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করেছেন বলে সন্দেহ পুলিশের। গত শনিবার আটক সৈকতকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে রোববার তাকে ঢাকার হাকিম আদালতে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ চার দিন হেফাজতের নির্দেশ দেন। খবর: বিডিনিউজ।

সৈকতের পক্ষে তার আইনজীবী আবদুল হামিদ ভূঁইয়া রিমান্ড বাতিলের আবেদন করলেও তা নাকচ করে দেন বিচারক। সৈকত (২২) আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের বিবিএর ছাত্র। সৈকত নিহত রুম্পার (২১) সাবেক প্রেমিক বলে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রীর সহপাঠীদের ভাষ্য। সৈকতও আগে স্টামফোর্ডে পড়তেন।

গত বুধবার রাতে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীর একটি গলিতে রুম্পার মরদেহ পাওয়ার পর তার মৃত্যু রহস্যজনক মনে হওয়ায় রমনা থানার এসআই আবুল খায়ের অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায়ই সৈকতকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে; মামলাটি তদন্ত করছেন গোয়েন্দা পুলিশের ঢাকা দক্ষিণ বিভাগের পরিদর্শক শাহ মো. আকতারুজ্জামান ইলিয়াস।

লাশ উদ্ধারের সময় রুম্পার পরিচয় জানা যায়নি। পরদিন শনাক্ত হয় যে, রুম্পা হবিগঞ্জে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক রোকনউদ্দিনের মেয়ে, তিনি থাকতেন মা-ভাইসহ মালিবাগে। যেখানে লাশ পড়েছিল, তার আধা কিলোমিটারের মধ্যে তাদের বাসা।

রুম্পার লাশ শনাক্ত হওয়ার পর স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একে হত্যাকাণ্ড দাবি করে তার বিচারের দাবিতে সড়কে নামেন। তাদের মুখে আসে সৈকতের নাম। তারপর শনিবার সন্ধ্যার পর খিলগাঁও এলাকা থেকে সৈকতকে আটক করে পুলিশ। তবে রুম্পার মৃত্যুর বিষয়টি এখনও রহস্যময় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে।

মরদেহ পাওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল, আশপাশের উঁচু কোনো ভবন থেকে পড়ে রুম্পার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও সেই ইঙ্গিতই রয়েছে। কিন্তু আশপাশের ভবনগুলোর বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে প্রামাণ্য কিছু পায়নি পুলিশ। সৈকতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রহস্যের জট খুলবে বলে আশা করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

রিমান্ডের আবেদনে শাহ মো. আকতারুজ্জামান ইলিয়াস বলেন, সৈকতসহ তার সঙ্গীরা রুম্পাকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করেন বলে ‘জোর সন্দেহ’ করছেন তারা। তিনি বলছেন, ৪ ডিসেম্বর রাতে রুম্পার লাশ পাওয়ার আগে বিকালে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসের বাইরের রাস্তায় তাকে সৈকতের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল।