শেয়ার বিজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত বেশ কয়েকজন রাশিয়ার কূটনীতিককে বহিষ্কারের পরিকল্পনা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাবেক রুশ গুপ্তচরকে বিষাক্ত গ্যাসে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্রিটেনের পর এবার যুক্তরাষ্ট্রও রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করতে যাচ্ছে। খবর ব্লুমবার্গ।
গত শনিবার ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপদেষ্টাদের সুপারিশ মেনে রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারে সম্মত হয়েছেন ট্রাম্প। আজ সোমবার এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হতে পারে।
অবশ্য সংশ্লিষ্ট ওই দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত হয়ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তিনি চাইছেন, এ বিষয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে ইউরোপীয় মিত্ররাও যেন এগিয়ে আসে তা নিশ্চিত করতে।
কর্মকর্তারা জানান, এক সপ্তাহ ধরে মার্কিন কর্মকর্তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে এ বিষয়ে ইউরোপিয়ানদের সঙ্গে নিয়ে একটি সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে কাজ করছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কঠোর পদক্ষেপ ও সহযোগিতা চাওয়ার পরই এই কাজে হাত দেওয়া হয়।
আজ যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি কয়েকটি ইউরোপিয়ান দেশও রুশ কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করতে পারে। এসব ইউরোপীয় দেশের মধ্যে রয়েছে লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া ও চেক রিপাবলিক। ব্রিটেনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি। তবে তাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত ৪ মার্চ ব্রিটেনের সালিসবুরির একটি পার্কের কাছ থেকে সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়াকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের স্নায়ু অকেজো করে দেয় এমন বিষাক্ত রাসায়নিক নার্ভ এজেন্ট দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এই দ্বৈত গুপ্তচর ২০১০ সাল থেকে ব্রিটেনে অবস্থান করছেন। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে রাসায়নিকের প্রভাবে এক পুলিশ কর্মকর্তাও গুরুতর আহত হন।
এই ঘটনা ব্রিটেন ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ককে সংকটের মধ্যে ফেলেছে। ২৩ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এর জবাবে তখনই পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে রাশিয়াও ২৩ ব্রিটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশটিতে থাকা ব্রিটিশ কাউন্সিল ও সেন্ট পিটার্সবার্গের ব্রিটিশ কনস্যুলেট।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এ ঘটনায় রুশ সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগকে সম্পূর্ণ বানোয়াট, নোংরা ও অর্থহীন’ অ্যাখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন। হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্রিটেনের সঙ্গে ‘অখণ্ড সংহতি’ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক যৌথ বিবৃতিতে এ সংহিত প্রকাশ করা হয়।