শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেনে হামলার জবাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ। গতকাল যুক্তরাজ্য জানায়, ইউক্রেন থেকে রুশ সেনাদের সরানো হলে মস্কোর বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে। খবর: বিবিসি।
এক মাসের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে রাশিয়া। এজন্য দেশটির বিরুদ্ধে একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তাদের মিত্র দেশগুলো। গত এক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিন নতুন নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে এসব দেশ।
তবে এবারই প্রথম নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা জানাল যুক্তরাজ্য। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ইউক্রেনে তার আগ্রাসন বন্ধ করলেও কোনো আগ্রাসন না চালানোর প্রতিশ্রুতি দিলে রুশ অলিগার্ক, ব্যাংক ও ব্যবসাবাণিজ্যের বিরুদ্ধে আনা সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট আক্রমণ অব্যাহত রাখলে নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়বে বলে জানান লিজ ট্রাস।
সম্ভাব্য শান্তি আলোচনায় সহায়তা করার জন্য যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরে একটি ‘নেগোসিয়েশন ইউনিট’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানান ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে যুদ্ধ বন্ধ ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে তার এমন মন্তব্যের বিপরীতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি ক্রেমলিন।
প্রসঙ্গত ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোয় থাকা রাশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকগুলো এবং দেশটির আলিগার্ক বা ধনী শাসকরা। নিষেধাজ্ঞার আওতায় ব্যাংক ও ব্যক্তিদের সব সম্পদ জব্দ করা হচ্ছে। নিষিদ্ধ করা হচ্ছে তাদের কার্যক্রম। এছাড়া রাশিয়ার অর্থনীতিকে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এর বাইরে জার্মানি রাশিয়ার গ্যাস পাইপলাইনের (নর্ড স্ট্রিম ২) কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। বিশ্বের প্রধান আর্থিক লেনদেন পরিষেবা সুইফট (সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন) থেকেও রাশিয়াকে বাদ দেয়া হয়েছে। রাশিয়া থেকে তেল, গ্যাস ও কয়লা আমদানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।