নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ পরোয়ানা জারি করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, ‘গত বৃহস্পতিবার মামলাটির অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। ওইদিন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিনজন হাজিরা দেন। রিজভীসহ তিনজন আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে আগামী ২৯ মার্চ মামলার অভিযোগ গঠনে শুনানির দিন ধার্য করেন।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর প্রতিদিনের কাজের অংশ হিসেবে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি মিন্টু রোডের ইস্কাটন হয়ে মাতুয়াইলের দিকে যাচ্ছিল। পথে কাকরাইলের বিজয়নগরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ২০০-২৫০ জন লাঠিসোটা নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় গাড়িচালক আয়নাল বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালে ফখরুলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেনÑমির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রুহুল কবির রিজভী, জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও শফিকুল বারী বাবু।
এদিন ইশরাকের পক্ষে আইনজীবী সময় আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মতিঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শাহ আলম এ তথ্য জানান।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে এই মামলা করে পুলিশ। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে ঢাকা-১৮ আসনে উপনির্বাচনে অনিয়মের প্রতিবাদে মিছিল থেকে সোনালী ব্যাংকের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করা হয়।
এরপর ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন ইশরাক। সেই জামিনের মেয়াদ শেষে ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন তিনি।