রূপগঞ্জের টানা দ্বিতীয় জয়

 

ক্রীড়া প্রতিবেদক: দলের দুই তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মাশরাফি বিন মুর্তজা নেই। যে কারণে ব্যাটিংটা আগের মতো হচ্ছে না লিজেন্ডস অব রূপগেঞ্জের। তারপরও বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে টানা জয়ের পথেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জের দলটি। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতিকে ২৮ রানে হারিয়েছে নাঈম ইসলামের দলটি।

খেলাঘরকে জয়ের জন্য ২৪০ রানের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয় রূপগঞ্জ। এক সময় জয়ের সম্ভাবনাও বেশ ভালোভাবেই জাগিয়ে তুলেছিল দলটি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের ক্লাবটির বোলাররা শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষকে নির্ধারিত ওভারে ১১ বল আগেই ২১১ রানে অলআউট করে ২৮ রানের জয় ছিনিয়ে নেয়।

প্রতিপক্ষের রানের খাতা খোলার আগেই রূপগঞ্জকে উইকেট এনে দেন পেসার মোহাম্মদ শরিফ। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে খেলাঘরকে পথ দেখান সালাউদ্দিন পাপ্পু ও নাজমুস সাদাত। গড়ে তোলেন ৫৯ বলে ৬২ রানের জুটি। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে পাপ্পুকে (৩৮) হাসানুজ্জামানের হাতে ক্যাচ বানিয়ে রাজা আলি দার সাজঘরে ফেরান। এরপরই অমিত মজুমদারকে ফেরান মোশাররফ হোসেন রুবেল। তবে এক প্রান্তে আগলে নবাগত খেলাঘরকে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন নিজামুদ্দিন। চতুর্থ উইকেটে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সাদাত। তবে বিপজ্জনক এ জুটি ভেঙে রূপগঞ্জকে ম্যাচে ফেরান মাহমুদুল হাসান। এ পেসার ৫২ রানে সাজঘরে ফেরান সাদাতকে।

এদিকে ৫৯ রান করা নিজামুদ্দিনকে প্যাভিলিয়নে ফেরান মোশাররফ হোসেন। এরপর মূলত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় রূপগঞ্জ। শেষদিকে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের লেজ ভেঙে দেন নাঈম ইসলাম ও মোহাম্মদ শরিফ।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে হাসানুজ্জামান ও পিনাক ঘোষের ওপেনিং জুটিতে ৪৪ রানের শুরু পায় রূপগঞ্জ। কিন্তু ৫২ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে দলটি। চতুর্থ উইকেটে অবশ্য দলের হাল ধরেন হামিদুল ইসলাম ও মোশাররফ হোসেন। তারপরও বিপদ পুরোপুরি কাটাতে পারেনি তারা। এক সময় ১০৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। তবে ষষ্ঠ উইকেটে রাজা আলি দার (৪৬) ও ইয়াসিন আলি (৫৯) ৯৪ রানের জুটিতে ২৩৯ রানের সম্মানজনক স্কোর গড়ে নারায়ণগঞ্জের দলটি।

এখন পর্যন্ত ডিপিএলে নিজেদের ৮টি ম্যাচের মধ্যে গতকালেরটি নিয়ে ৫টিতে জিতলো রূপগঞ্জ। তাতে পয়েন্ট টেবিলের ৭ নম্বরেই রয়েছে নাঈম ইসলামের দলটি।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০