নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যুৎ প্রকল্প রূপপুরের ঋণ ও সুদ পরিশোধ নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমাধান করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গতকাল বুধবার মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দার মনতিৎস্কি। ওই সাক্ষাতে রূপপুরের ঋণের প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, বৈঠকে বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগের জন্য রাশিয়াকে আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। আগামী বছরের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যাবে বলে আশা করেছেন মনতিৎস্কি। এ সময় তিনি প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
রূপপুরের ঋণ ও সুদ পরিশোধ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে জটিলতা বিকল্পভাবে সুরাহার পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে বকেয়া অর্থ এত দিন সরাসরি পাঠাতে না পেরে এখন চীনের মাধ্যমে সেই উপায় খোঁজা হচ্ছে।
দেশের সবচেয়ে বড় এ প্রকল্পের জন্য নেয়া বিপুল ঋণের সুদের অর্থ পাঠানোর চেষ্টার মধ্যেই বাংলাদেশের তরফে ঋণের আসল পরিশোধের সময় বাড়ানোর চেষ্টা চলে। তবে রাশিয়া এ প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে সুদের অর্থ পরিশোধে তাগাদা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষে টানাপোড়েনের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজে জটিলতা এড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সুদের অর্থ পাঠাতে বিশেষ বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া উপায় ছিল না। ইউনূস ও মনতিৎস্কির মধ্যে রাশিয়ার তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি গ্যাজপ্রমের এ দেশে কার্যক্রম এবং রাশিয়ার গম ও সারের রপ্তানি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত এবং গম ও সার সরবরাহকারী দেশ হিসেবে রাশিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা করেন। ইউনূস বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
ওই সময় এসডিজিবিষয়ক প্রধান ও জ্যেষ্ঠ সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আবুল হাসান মৃধাও উপস্থিত ছিলেন।