নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানি রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৭ দশমিক ২২ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে চার কোটি ৪১৬ লাখ ৫৩ হাজার ৪০০ টাকা। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ ২০ কোটি ৮২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
সর্বশেষ কার্যদিবসে শেয়ারদর দশমিক ৮২ শতাংশ বা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৯ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪৯ টাকা। দিনজুড়ে ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ২০৬টি শেয়ার মোট এক হাজার ৫১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর সাত কোটি ২৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৫০ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ৩৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৫০ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
বিমা খাতের কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা আগের বছর ছিল ১০ শতাংশ বোনাস।
১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৭ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির দুই কোটি ৭৭ লাখ ৩৯ হাজার ১৮১টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালক ৩১ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৫ দশমিক ৫০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৩২ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন এক কোটি ২৬ লাখ ৭১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ছয় কোটি ৩৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকার শেয়ার।
সর্বশেষ কার্যদিবসে শেয়ারদর ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ বা এক টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২১ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২১ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৯২টি শেয়ার মোট এক হাজার ১৩৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি ৩১ লাখ ১১ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৯ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২১ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ১৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৪৪ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৩৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ২৩ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১৮ কোটি সাত লাখ ২০ হাজার টাকা।
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে তিন পয়সা, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল এক টাকা ১২ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে এক টাকা ৯ পয়সা।
১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৯ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট পাঁচ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ৫০০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ২৮ দশমিক ৪২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ছয় দশমিক ৯৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৬৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার।
তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৩৬ লাখ ২১ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে এক কোটি ৮১ লাখ ৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সর্বশেষ কার্যদিবসে শেয়ারদর সাত দশমিক ৮৭ শতাংশ বা দুই টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৮ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৮ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে তিন লাখ ৭৮ হাজার ৪৩টি শেয়ার মোট ২৬৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ২৯ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ার দর ২২ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৩৬ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সাবঅরডিনেট ২৫ শতংশ কনভারটেবল বন্ডস অব ব্র্যাক ব্যাংকের ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ, আমরা নেটওয়ার্ক লিমিটেডের ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ, ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেডের ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ, এটলাস বাংলাদেশের ৯ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সাত দশমিক ৬৩ শতাংশ, ওয়াটা কেমিক্যালসের ছয় দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের পাঁচ দশমিক ৮০ শতাংশ দর বেড়েছে।