রেইনট্রি ধর্ষণ মামলায় সাফাতসহ পাঁচজন খালাস

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত এ রায় দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দেন।

খালাস পাওয়া অন্য চারজন হলেন সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম, সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।

বিচারক রায় পড়ার সময় বলেন, ‘আপনারা বলছেন, এটি একটি আলোচিত মামলা; কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে না। আমার কাছে সব মামলাই আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ। এই মামলাটির মেডিকেল রিপোর্টে কিছুই পাওয়া যায়নি এবং ডাক্তাররা কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।’

রায় শোনার পর আদালতের মধ্যে আসামিরা আলহামদুলিল্লাহ বলে ওঠেন। এরপর তাদের বের করার সময় খালাস পাওয়া আসামি নাইম আশরাফ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘সত্যের জয় হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। এটা সাজানো ছিল। আমরা ভিক্টিমাইজড। আদালত সঠিক রায় দিয়েছেন।’

সাফাত আহমেদের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘মেডিকেল রিপোর্ট, ডিএনএ রিপোর্ট ও ২২ সাক্ষীর জবানবন্দিÑসবকিছুর আলোকে এ ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমরা টিমের সবাই আনন্দিত। এই মামলায় যারা তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। এই মামলায় চূড়ান্ত রিপোর্ট হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তারা কাউকে খুশি করার জন্য এই কাজ করেছিলেন।’

নাঈম আশরাফের আইনজীবী খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘সাফাত আহমেদের সাবেক স্ত্রী ও কতিপয় ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে এই মামলা করেছেন। মেডিকেল রিপোর্ট, ডিএনএ টেস্ট, আসামিদের জবানবন্দি এবং ২২ সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা পর্যালোচনা করে আসামিদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। মিথ্যা মামলায় ৯৬ কার্যদিবস আদালতের সময় নষ্ট করা হয়েছে।’

এর আগে ১২ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক অসুস্থ থাকায় রায় ঘোষণার জন্য ২৭ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়। ওই দিন সিনিয়র আইনজীবী বাসেত মজুমদার মারা যাওয়ায় আদালতের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ফলে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন (গতকাল) ধার্য করা হয়েছিল।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০