রেকর্ড সুদহার বৃদ্ধি আমেরিকায়

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্ব অর্থনীতিতে জোর ধাক্কা দিয়েছে করোনা মহামারি। এর ওপর পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। চাপে পড়েছে জ্বালানি থেকে খাদ্যশস্যের সরবরাহব্যবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে রেকর্ড মুদ্রাস্ফিতির সাক্ষী হয়েছে আমেরিকা। খবর: সিএনবিসি।

পরিস্থিতি সামাল দিতে গত বুধবার সুদহার ৭৫ পয়েন্ট বাড়ায় মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ বা ফেড, গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বুধবার বৈঠকে বসে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারক ‘ফেডারেল

ওপেন মার্কেট কমিটি’। সেখানে ঋণের ওপর সুদহার ৭০ বেসিস পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭৫ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেখানে আরও

সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, মুদ্রাস্ফীতির হার দুই শতাংশের মধ্যে রাখতে হবে। ফলে ভবিষ্যতে সুদহার আরও বাড়াতে পারে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ।

এর আগে ১৯৮২ সালের নভেম্বরে প্রথম সুদহার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছিল।

চলতি বছর শেষে ফেডারেল তহবিলের হার দাঁড়াতে পারে ৩ দশমিক ৪ শতাংশে। ত্রৈমাসিক পূর্বাভাস অনুযায়ী এমনই মনে করছেন কমিটির সদস্যরা। এ বছরের শেষ দিকে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রাস্ফীতি সূচক ৫ দশমিক ২ শতাংশ বাড়তে পারে। জিডিপি বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে আসতে পারে। আগের পূর্বাভাস অনুযায়ী যা ছিল ২ দশমিক ৮ শতাংশ।

ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম কারণ। আগেই রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ করেছে আমেরিকা। ফলে আমেরিকায় পেট্রলের দাম পৌঁছায় প্রতি গ্যালনে ৫ ডলার, যা প্রতিদিন নতুন রেকর্ড করছে। এছাড়া ২০২০ সাল থেকে কভিড মহামারিতে সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয়েছে দেশটি।

মে মাসে দেশটির ভোক্তাব্যয়ে মূল্যস্ফীতি ১২ মাসে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়ে। বেড়েছে পাইকারি মূল্যসূচকও। পেট্রোলের দাম বেড়ে যাওয়ার এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রেকর্ড সুদ বাড়ানো হয়েছে। ফলে কার লোন, হোম লোন, ক্রেডিট কার্ড বিলের পরিমাণ বাড়বে। এতে বাজারে নগদ অর্থের জোগান কমবে। ফলে চাহিদাও কিছুটা কমবে। অর্থাৎ অর্থনীতির নিয়ম মেনে চাহিদা কমলে মূল্যবৃদ্ধিও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০