বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (বেক্সিমকো ফার্মা) জেনেরিক ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য উৎপাদন ও অ্যান্টিভাইরাল রেমডেসিভির (ব্র্যান্ডের নাম রেমসিভির) ইনজেকশন রপ্তানি করে আসছে। আজারবাইজান, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, ভেনেজুয়েলাসহ বেশ কয়েকটি দেশের হাসপাতালে ভর্তি কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে এ ইনজেকশন। মূলত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গিলিয়াড সায়েন্সেস দ্বারা উৎপাদিত রেমডেসিভির একটি অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ, যা সরাসরি ভাইরাল আরএনএ প্রতিরোধে কাজ করে এবং মার্কিন এফডিএ গুরুতর কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য এই ড্রাগটিকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বেক্সিমকো।
গত ২১ মে ডিজিডিএ’র কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশে রেমিডেসিভির জেনেরিক তৈরি শুরু করে। ওষুধের জেনেরিক তৈরির প্রবর্তনকারী হিসেবে বিশ্বে প্রথম রেমডেসিভির উৎপাদন করে বাংলাদেশ। সংস্থাটি বিনা মূল্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কভিড-১৯ চিকিৎসায় পরিচালিত হাসপাতালগুলোয় রেমডেসিভির সরবরাহ করে আসছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এক বোতল রেমডেসিভিরের দাম পড়ছে ৫৫ ডলার থেকে ৬৫ ডলার। করোনা রোগের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে এ ওষুধ ছয় থেকে ১১ বোতল প্রয়োজন হয় প্রত্যেক রোগীর।
এ বিষয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, দেশে উৎপাদিত রেমডেসিভির দ্বারা বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের রোগীদের জীবন বাঁচাতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বের প্রথম জেনেরিক রেমডেসিভির উৎপাদন করে এ ওষুধটি মধ্যম ও নিন্ম আয়ের দেশের রোগীদের কাছে স্বল্পমূল্যে পৌঁছে দিতে পেরে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছি।
কভিড-১৯ মহামারির প্রতিক্রিয়া হিসেবে এরই মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মা করোনা রোগীদের চিকিৎসায় বিভিন্ন সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সংস্থাটি বর্তমান মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সম্ভাব্য সব উপায়ে বেক্সিমকো ফার্মা এরই মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক গবেষণা, উন্নয়ন ও উৎপাদনে মনোনিবেশ করেছে। বেক্সিমকো ফার্মা এরই মধ্যে সম্ভাব্য চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ফ্যাভিপিরাবির (ব্র্যান্ডের নাম ভিরাফ্লু) চালু করেছে। পাশাপাশি করোনা চিকিৎসায় ব্যবহƒত অ্যান্টিম্যালেরিয়াল ড্রাগ হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন (ব্র্যান্ডের নাম কোভিসিন) এবং অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক ইভারমেক্টিন (ব্র্যান্ডের নাম ইভেরা) উৎপাদন করছে।
প্রসঙ্গত, বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালসের শীর্ষস্থানীয় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এ সংস্থা ৫০টিরও বেশি দেশে নিজেদের তৈরি ওষুধ রপ্তানি করছে। বিজ্ঞপ্তি