নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। কোরবানির পশুসহ ঈদ কেনাকাটায় স্বজনদের জন্য বেশি বেশি টাকা পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। মাত্র পাঁচ দিনেই ৫৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা বাংলাদেশি প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি। যার ফলে রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামার যে আশঙ্কা ছিল, তা আর নামবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যমতে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রবাসীরা দু’হাত ভরে পাঠাচ্ছেন তাদের উপার্জন। চলতি জুলাই মাসের প্রথম পাঁচ দিনে ৫৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ঈদের আগে দেশে থাকা স্বজনরা যেন একটু ভালো করে ঈদ উদ্্যাপন করতে পারেন এবং পছন্দমতো কোরবানির পশু কিনতে পারেন, সেজন্য প্রতিবছর ঈদের আগেই রেমিট্যান্স আসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে আরও জানা যায়, চলতি জুলাই মাসের প্রথম ৫ দিনে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে।
রেমিট্যান্সের প্রবাহ চাঙা হওয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তারা বলেছেন, প্রতি ঈদের আগেই রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মে মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৮৮ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। অথচ জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮৩ কোটি ৭২ লাখ ডলার। অর্থাৎ মে মাসের তুলনায় জুনে রেমিট্যান্স কমেছে ৫ কোটি ডলার।
২০২০-২১ অর্থবছরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্সের উল্লম্ফন ছিল। ওই অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে দুই হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের ১২ মাসের মধ্যে সাত মাসেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে। গত ছয় মাসে আরও ১০ লাখের মতো শ্রমিক বিদেশে গেছেন। তাদের পাঠানো আয় অচিরেই রেমিট্যান্স খাতে যোগ হবে। ফলে বাড়বে রেমিট্যান্স।
রেমিট্যান্স বন্যা : পাঁচ দিনে এলো পাঁচ হাজার কোটি টাকা
