সাইদ সবুজ, চট্টগ্রাম: রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কাছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৮৬ কোটি এক লাখ ২৮ হাজার ৯৮৫ টাকা পৌরকর বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত ৮২ কোটি ৮৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ও চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য তিন কোটি ১২ লাখ ৮১ হাজার টাকা। বকেয়া আদায়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলকে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
চসিক সূত্রে জানা যায়, আটটি সার্কেলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কাছে বকেয়া ও হাল পৌরকর মিলে ৮৬ কোটি এক লাখ টাকা পাবে চসিক। এসব সার্কেলের মধ্যে সব থেকে বেশি বকেয়া রয়েছে ৫ নং সার্কেলে। এ সার্কেলে বকেয়া ৪৭ কোটি ১৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ২০১৬-১৭ সাল পর্যন্ত বকেয়া ছিল। হাল অর্থবছরে ১৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা যোগ হয়েছে। এরপরের স্থানে আছে সার্কেল ছয়, এ সার্কেলের কাছে ৩৫ কোটি ৬০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে গত অর্থবছর পর্যন্ত বকেয়া ছিল ৩৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, চলতি অর্থবছরে আরও ১২ কোটি ১১ লাখ টাকা যোগ হয়েছে।
বাকি সার্কেলগুলোর কাছে প্রায় চার কোটি টাকা পাবে চসিক। এর মধ্যে সার্কেল আটে দুই কোটি ৬৩ লাখ টাকা, সার্কেল চারে ৩৪ লাখ টাকা, ২২ লাখ টাকা, সার্কেল দুইয়ে ২২ লাখ টাকা ও ১ নং সার্কেলে তিন লাখ টাকা পৌরকর বকেয়া রয়েছে।
চসিকের রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ‘রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কাছে বারবার গিয়ে ও চিঠি পাঠিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। নাগরিকদের সব ধরনের সেবা দিতে আমাদের পৌরকরের ওপর নির্ভর করতে হয়। রেলওয়েসহ সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কাছে চসিকে বিপুল পরিমাণ পৌরকর বকেয়া রয়েছে। এসব বকেয়া আদায়ের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠিও পাঠানো হচ্ছে।’
চসিক মেয়র চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন শেয়ার বিজকে বলে, ‘রেলওয়ের কাজে অনেক টাকা বকেয়া রয়েছে। করপোরেশন থেকে তাদের কাছে বারবার গেলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। সেজন্য এখন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নগরবাসীর সার্বিক সেবা প্রদান নিশ্চিতকল্পে ও করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, সব ধরনের আবকাঠামো উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা নিরসন ইত্যাদি বহুমুখী উন্নয়ন ব্যয়ে সিংহভাগ পৌরকর থেকে নির্বাহ করা হয়। তাই পৌরকর আদায় করা অত্যন্ত জরুরি। সব বকেয়া আদায়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’