Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 11:52 pm

রেলরুটে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক

অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের বাইরে রয়েছে দেশের অনেক রেলরুট। এ রুটকে যোগাযোগ প্রক্রিয়ার মধ্যে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
দেশে বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার রেললাইন আছে। এর মধ্যে তিন দফায় আড়াই হাজার কিলোমিটার রেললাইনের পাশে অপটিক্যাল ফাইবার কেব্ল বসানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার ফাইবার স্থাপন করা হয়।
সেকেন্ডারি লাইন হিসেবে থাকা রেলওয়ের বাকি ৫৭৫ কিলোমিটারের রুটগুলোকে এ নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়নি। এবার এখানেও কেব্ল বসানোর কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যা শিগগির একনেকে উঠবে।
বর্তমানে রেলপথ মন্ত্রণালয়েরও ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের লাইসেন্স রয়েছে। কেব্ল ভাড়া দিয়ে তারা আয়ও করছে।
১৯৯২ সালে নরওয়ে সরকার বাংলাদেশের জন্যে অপ্রচলিত এই অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করে দেয় রেল বিভাগকে। সে সময়ে এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার ফাইবার স্থাপন করা হয়। ১৯৯৭ সালে প্রামীণফোন উম্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে এই কেবল লিজ পায়। পরে গ্রামীণফোন আরও ৪০৯ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করে। চুক্তি অনুসারে এসব অপটিক্যাল ফাইবারের মেরামত ও সংরক্ষণের দায়িত্বও গ্রামীণফোনের। আরও পরে রেলওয়ে ৪০০ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করে।
অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা ৫৭৫ কিলোমিটার রেলপথের পাশে এই কেব্ল স্থাপন করতে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত সময় লাগবে বলে প্রকল্পে উল্লেখ করা হয়েছে।